মিয়ানমারে সর্বাত্মক ইউনিয়ন ধর্মঘট; পুলিশি হেফাজতে সু চি'র দলীয় কর্মকর্তার মৃত্যু
মিয়ানমারের প্রধান শ্রমিক জোটগুলো গত মাসের সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে অর্থনীতিকে বন্ধ করে দেওয়ার ডাক দিয়েছে। এই আহবানের মধ্য দিয়ে সেনা জান্তা সরকারের উপর চাপ তৈরির চেষ্টা করলো তারা।
গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীদের কঠোর হস্তে দমন করতে সম্প্রতি তৎপর হয়েছে সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী অন্যান্য বাহিনী। আন্দোলনে তাজা গুলি চালানোসহ চলছে ব্যাপক ধরপাকড়। এমনকি দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনের হাসপাতালগুলোতেও তারা অবস্থান নিয়েছে, যাতে সেখানে আহত বিক্ষোভকারীদের আনা হলে তাদের গ্রেপ্তার করা যেতে পারে।
এই অবস্থায় আজ রোববার রাত নামার সাথে সাথেই বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের নানা এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলিবর্ষণ এবং স্টান গ্রেনেড বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানায় স্থানীয় গণমাধ্যম। এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছেন কিনা- তা অবশ্য জানা যায়নি।
গত ১ ফেব্রুয়ারির পর থেকেই বাড়ছিল জান্তা বিরোধী বিক্ষোভের মাত্রা। এক পর্যায়ে ৯টি শ্রমিক ইউনিয়নের জোট দীর্ঘস্থায়ীভাবে মিয়ানমারের অর্থনীতি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার আহ্বান জানায়।
তাদের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, "স্বাভাবিকভাবে অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক কর্মকান্ড চলতে থাকলে- তা মিয়ানমারের নাগরিকদের শক্তি হরণকারী সামরিক জান্তার হাতকেই শক্তিশালী করবে। তাই এবার গণতন্ত্র রক্ষায় অ্যাকশন নেওয়ার সময় এসেছে।"
এই ঘোষণার পর সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে ওই মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
শনিবার দিবাগত রাতে অং সান সু চি'র দলের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর পর শ্রমিক জোটগুলো সর্বাত্মক ধর্মঘটের ডাক দেয়। খিন মুয়াং লাত- নামের ওই কর্মকর্তা এনএলডি' থেকে ২০২০ সালে নির্বাচিত দুই মুসলিম এমপি'র মধ্যে একজনের প্রচারণা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
- সূত্র: রয়টার্স