মৃত্যুর আগ মুহূর্তে সৈন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য পাসপোর্ট উঁচিয়ে ধরেছিলেন তিনি
বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন উত্তর লন্ডনের দোকানদার মুসা পোপাল।
৬০ বছর বয়সী পোপাল ভিড়ের মধ্য থেকে তার ব্রিটিশ পাসপোর্ট নাড়িয়ে সৈন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করার সময় সেখানে ঘটা বোমা হামলায় নিহত হন। এ ঘটনায় বেঁচে যান তার সঙ্গে থাকা স্ত্রী সালিমা। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে আসেন ওই নারী।
এ ঘটনায় মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে তাদের নাতি হামিদের। আফগানিস্তানে বসবাসকারী ১৪ বছর বয়সী হামিদ তার দাদা-দাদীর দোভাষী ছিল।
২০ বছর ধরে ব্রেন্ট ক্রসের কাছে মাদিনা সুপার মার্কেট পরিচালনা করে আসছিলেন হেন্ডন শহর থেকে আসা ব্রিটিশ-আফগান নাগরিক পোপাল।
এ ঘটনার পর তার শোকাহত ছেলে হিদায়াত বলেন, 'তিনি তার পরিবার ও সন্তানদের দেখতে গিয়েছিলেন। আমার তিন বোন ও এক ভাই সেখানে থাকেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের সম্প্রতি বিয়ে হওয়ায় সেই পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি।'
পোপালের মেয়ে জোহরা তার বাবাকে 'খুব মজার, খুব দায়িত্বশীল মানুষ' হিসেবে অভিহিত করে বলেন, 'তাকে হত্যা করা হয়েছে, এ কথা আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না। তিনি ছিলেন অমায়িক ও দয়ালু মনের মানুষ। সেখানকার (আফগানিস্তান) পরিস্থিতি সব সময়ই খারাপ ছিল; কিন্তু এত খারাপ হবে, আমরা আশা করিনি।'
বৃহস্পতিবারের নৃশংসতায় তিনজন ব্রিটিশ নাগরিক এবং আরেকজন নাগরিকের মেয়ে নিহত হন। এছাড়া নিহতদের মধ্যে ছিলেন হ্যাম্পশায়ারের অ্যালডারশট শহরের ২৯ বছর বয়সী উবার ড্রাইভার মোহাম্মদ নিয়াজিও। তবে তার চাচাতো ভাই গোলাম হোসেন নিয়াজী বলেছেন, 'আমাকে বলা হয়েছিল, বিস্ফোরণে নিহত হননি তিনি; বরং তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।'
তিনি আরও জানান, আফগানিস্তান তালেবানদের দখলে যাওয়ার পর তিনি তার স্ত্রী-সন্তানদের উদ্ধারের জন্য দেশে এসেছিলেন। এমনকি তার এক সন্তান হাসপাতালে ভর্তি ছিল বলেও জানান নিয়াজির চাচাতো ভাই।
-
সূত্র: ডেইলি মেইল