যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র নজিরবিহীনভাবে নিগৃহীত: বাইডেন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত জো বাইডেন। এই হামলাকে 'হিংসাত্মক আক্রমণ' হিসেবে চিহ্নিত করে ট্রাম্পকে টিভি চ্যানেলে গিয়ে সংঘর্ষ 'বন্ধ' করার জন্য আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন বাইডেন।
আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে স্লোগান দিয়ে তার কিছু সমর্থক ক্যাপিটল ভবনে যে নজিরবিহীন সংঘর্ষ বাধালেন তার নিন্দায় মুখর জো বাইডেন।
বর্ষীয়ান এই ডেমোক্র্যাট বলেছেন, ''এই সময়ে আমাদের গণতন্ত্র নজিরবিহীনভাবে নিগৃহীত।'' এর পরই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ''প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এখনই কোনও জাতীয় টিভি চ্যানেলে গিয়ে এই সংঘর্ষ থেকে মানুষকে বিরত করতে আবেদন করা উচিত।''
ট্রাম্পের সমর্থকরা যে কাজটি করেছেন তাকে নিছক প্রতিবাদ বলতে নারাজ বাইডেন। তিনি বলেছেন, ''ক্যাপিটলের ভিতর দাপিয়ে বেড়ানো, জানালা ভাঙা, অফিস দখল করা, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জীবন সংশয়ের মধ্য দাঁড় করানো— এ সবের কোনওটাই নিছক প্রতিবাদ নয়। এ সবই হিংসাত্মক হামলা।''
এদিকে এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও জালিয়াতি হয়েছে দাবি করে সমর্থকদের উদ্দেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'আমি আপনাদের বেদনা বুঝি, আমি আপনাদের কষ্ট জানি। একটা নির্বাচন হয়েছিল, যেটা আমাদের কাছ থেকে চুরি করে নেয়া হয়েছে। এটা আমরা সবাই জানি। তবে আপনাদের এখন বাড়ি ফিরতে হবে। আমাদের শান্তি দরকার।
বুধবার আমেরিকার আইন-প্রণেতারা যখন নভেম্বরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য অধিবেশনে বসেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত শত সমর্থক তখন আমেরিকার আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল-এ ঢুকে পড়ে।
হামলা চলাকালে ভবনের ভেতরে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করার খবর পাওয়া যায় এবং অন্তত একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা যায়। পরবর্তীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নারী মারা গেছেন বলে জানানো হয়।
কয়েক ঘণ্টা ভবন দখলের পর বিক্ষোভকারীরা ধীরে ধীরে ক্যাপিটল প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাইরে চলে যেতে থাকে। পুলিশ কংগ্রেস সদস্যদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণার অধিবেশন স্থগিত হলো।