সম্পূর্ণ গালোয়ান উপত্যকা চীনের!
গত সপ্তাহে পূর্ব লাদাখের যে অঞ্চলে ভারতীয় এবং চীনা সেনা সদস্যদের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘাত ঘটেছে সেই গালোয়ান উপত্যকার সম্পূর্ণ এলাকাকে নিজ সীমানার অংশ বলে দাবি করেছে চীন। গত ১৫ জুনের সংঘাতের জন্য নয়াদিল্লিকে দোষারোপ করে বেইজিং এই দাবি তুলে ধরে। সেদিনের ওই সংঘাতে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়।
গতকাল শুক্রবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়ান এক টুইটারে দেওয়া বিবৃতিতে জানান, লাদাখ অঞ্চলের মালিকানা বিরোধপূর্ণ। ওই অঞ্চলের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চীন-ভারত সীমান্তের পশ্চিম পাশে অবস্থিত গালোয়ান উপত্যকা দীর্ঘদিন ধরেই চীনের অংশ। সেখানে এর আগে থেকেই চীনা সেনারা নিয়মিত টহল দিয়ে এসেছে।
টুইটারে লিঝিয়ান পুরো সংঘাতের ঘটনার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তিনি সংঘাতের জন্য দোষ দিয়েছেন ভারতের আগ্রাসী আচরণকে।
ধারাবাহিক কয়েকটি টুইট বার্তায় গালোয়ান সংঘর্ষ নিয়ে তিনি চীনের নিজস্ব ব্যাখ্যা ও অবস্থান তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, চীনা সেনা এবং কর্মকর্তারা আলোচনার জন্য গেলে সীমান্তে মোতায়েন করা ভারতীয় সেনা সদস্যরা তাদের ওপর চড়াও হয়। এসময় দুইপক্ষে হাতাহাতি লড়াইয়ের সূত্রপাত হয়, যার ফলেই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
গত ৬ জুন দুই দেশের মাঝে উত্তেজনা নিরসনে মেজর জেনারেল পর্যায়ে যে সমঝোতা হয়েছিল, তা ভঙ্গ করে ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘাতে উস্কানি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ঝাও লিঝিয়ান।
এসময় তিনি আরও বলেন, কোনটা ঠিক আর কোনটা নয়, তা খুবই পরিষ্কার। সংঘাতের দায় যে পুরোটাই ভারতের তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
এদিকে চীনা মুখপাত্রের এই দাবি ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুভ্রামনিয়াম জয়শঙ্করের ইতোপূর্বে দেওয়া বিবৃতির সম্পূর্ণ বিপরীত। গালোয়ান উপত্যকার ভারতীয় অংশে চীনা সেনারা একটি স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করলে এই সংঘাতের সূত্রপাত হয় বলে দাবি করেছিলেন তিনি।
কিন্তু সাম্প্রতিক বিবৃতির মধ্যে দিয়ে দেশটি সম্পূর্ণ গালোয়ান উপত্যকাকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে উল্টো অনুপ্রবেশের দায় চাপাল ভারতের কাঁধে।