সাগরে রোহিঙ্গাদের নৌকাডুবি, মরেও যারা মরেনি!
আশঙ্কা করা হয়েছিল তারা সবাই মরে গেছে, ছাব্বিশ জন রোহিঙ্গা। মালেয়েশিয়া যাওয়ার পথে তাদের নৌকা ডুবে যায়। একজন সাঁতরে তীরে ফিরে এসে ঝোপঝাড়ে আশ্রয় নেয়। পরে মালয়েশিয় কতৃর্পক্ষ তাকে পাকড়াও করে তার ভাষ্য শুনে ধারণা করে: বাকিরা কেউ জীবিত নেই। সবার সাগরে সলিল সমাধি ঘটেছে।
কিন্তু দ্রুতই ঘটনা পাল্টে যায়। বেঁচে যাওয়া রোহিঙ্গা দুর্ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রথমে সাগরে নৌকা উল্টে গেছে জানালেও- পরে সে স্বীকার করে যে, নৌকা উল্টে যাওয়ার ঘটনা সত্যি নয়।
দলের বাকি সদস্যদের গত রোববার গভীর রাতে উদ্ধার করা হয়, কোস্টগার্ড প্রধান মোহামাদ জুবিল মাত বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, উত্তর-পশ্চিমের ছোট্র রিসর্ট দ্বীপ ল্যাংকাউইয়ে থেকে এদের সবাইকে আটক করা হয়েছে। অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের হস্তান্তরের আগে সবার করোনভাইরাস পরীক্ষা করা হবে বলে জানান তিনি।
মায়ানমারে নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রায়ই সমুদ্রপথে রোহিঙ্গারা মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে ভাইরাসের কারণে মালয়েশিয় কর্তৃপক্ষ অভিবাসী আগমন ঠেকানোর চেষ্টা করছে।
মোহামাদ জুবিল মনে করেন, মানব পাচারকারীরা বড় নৌকা থেকে ছোট মাছ ধরার নৌকায় তুলে রোহিঙ্গাদের উপকূলে নিয়ে এসেছে।
'আমরা মানব পাচারকারীদের শনাক্ত করতে পেরেছি, যাদের মধ্যে একজন রোহিঙ্গাও রয়েছে। শীঘ্রই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে,' বলেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের অনেকেই বাংলাদেশ থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করে। মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই রোহিঙ্গাদের পছন্দের গন্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, অনেকে মালয়েশিয়ায় নির্মাণ শ্রমিক কিংবা কৃষিক্ষেত্রে স্বল্প বেতনের চাকরি করে থাকে।
মালয়েশিয় কর্তৃপক্ষগুলি মহামারী শুরুর পর থেকে আভিবাসীদের নিয়ে আসা নৌকাগুলিকে বাধা দিচ্ছে।