হ্যারি-মেগানকে আর নিরাপত্তা দেবে না কানাডার পুলিশ
মার্চ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজপরিবারের সিনিয়র সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করবেন যুবরাজ হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান মার্কেল।
এরপর থেকে আর ব্রিটিশ রাজপরিবারের নাগরিক থাকবেন না তারা; হয়ে যাবেন বেসরকারি নাগরিক। এই দম্পতি তাদের শিশু পুত্র আর্চিকে সঙ্গে করে চলে এসেছেন কানাডায়।
তবে এবার কানাডিয়ান পুলিশ জানাল, এই রাজদম্পতিকে আর নিরাপত্তা দেবে না তারা।
গত নভেম্বর থেকেই এই দম্পতি এবং তাদের শিশু আর্চিকে সুরক্ষা দিয়ে আসছে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরএমসিপি)। কিন্তু তারা ঘোষণা দিয়েছে আগামী সপ্তাহ থেকে এই সুরক্ষা ব্যবস্থা তারা বন্ধ করে দেবে।
রাজপরিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে যাওয়ার পর কানাডায় তাদের সুরক্ষার জন্য আর কোনো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে না।
আরসিএমপি জানায়, এই জুটি বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবে সুরক্ষিত ব্যক্তি হিসাবে স্বীকৃত হওয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুরোধে এতদিন তাদের সুরক্ষা দিয়েছে তারা।
সিবিসিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে আরএমসিপি বলে, তারা কানাডায় থাকার সময় রাজকীয় পরিবারের এই সদস্যদের সুরক্ষা দিয়েছে।
'ডিউক এবং ডাচেস যেহেতু বর্তমানে আন্তর্জাতিক সুরক্ষিত ব্যক্তি হিসাবে স্বীকৃত, কানাডার একটি প্রয়োজনীয় ভিত্তিতে সুরক্ষা সহায়তা প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।'
'তবে তাদের পরিস্থতি পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আগামী সপ্তাহ থেকে বন্ধ হয়ে যাবে।'
এদিকে নিজস্ব এক বিবৃতিতে হ্যারি-মেগান দম্পতি জানায়, সাসেক্সের ডিউক ও ডাচেস এবং তাদের সন্তানের জন্য কার্যকর সুরক্ষা প্রয়োজন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাজপরিবারে জন্ম নেওয়ায় এবং তার সামরিক পরিষেবার কারণে ডিউকের একটি পরিচিতি আছে। এদিকে রূপালি পর্দার ডাচেস মেগান মার্কেলেরও একটি পরিচিতি আছে। আর তাই হুমকি আর ঝুঁকির তালিকায় রয়েছেন তারা।
এর আগে জানুয়ারিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছিলেন, এই দম্পতির কানাডায় স্থায়ী হওয়ার পেছনে কোনো আলোচনাতেই কানাডার সরকার জড়িত নয়।
এই পরিস্থিতিতে কারা এই দম্পতির সুরক্ষা ব্যয় দেবে- তা এখনো পরিষ্কার নয়। অবশ্য নিরাপত্তার খাতিরে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রকাশ করতে চাইছে না কানাডা মেট্রোপলিটন পুলিশ।