৭০ বছরে প্রথম বেতন পাননি বিশ্বভারতীর অধ্যাপক-কর্মীরা
জুলাই মাসের অর্ধেক গড়িয়ে গেছে, অথচ এখনও জুনের বেতন পাননি পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-কর্মীরা। দেওয়া হচ্ছে না পেনশনও। ৭০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম বেতন ও পেনশন না পাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এই নিয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অধ্যাপক-কর্মীরা।
তাদের অভিযোগ, জুলাই মাসের ১৫ তারিখ গড়িয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত জুনের বেতন দেয়া হয় নি। এমনকি, অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরাও পেনশন পাননি বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঠাকুর পরিবারের সদস্যরাও।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, "আমি নিজে একজন পেনশনভোগী। তবে আমার খুব একটা অসুবিধা না হলেও আমার কিছু পরিচিত প্রাক্তন আশ্রমিক সহকর্মী আছেন যারা এখনও পেনশন পাননি। এই পেনশনের উপরেই তাদের জীবন নির্ভরশীল। পেনশন না পাওয়ায়, খুব সমস্যার মধ্যে রয়েছেন তারা। এর জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দায়ী। শুনেছি বেতন চলে এসেছে। তা হলে, তা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে না কেন? জীবনে কখনও এই ধরনের ঘটনা দেখিনি। শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান করা উচিত।"
বিশ্বভারতীর প্রাক্তন আশ্রমিক সুবোধ মিত্র জানান, গত ৭০ বছরে কোনও দিন বেতন বন্ধ হয়নি। এই প্রথম বিশ্বভারতীতে এই ঘটনা ঘটছে। বিশ্বভারতীর শিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক হয়ে রয়েছে। কখনও শিক্ষার্থীদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে, তো কখনও অধ্যাপক-কর্মীদের। এমনকি বাদ যাচ্ছেন না আশ্রমিকরাও। উপাচার্য স্বৈরাচার চালাচ্ছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক, কর্মকর্তা, স্থায়ী শিক্ষক ও কর্মী মিলে মোট ৩ হাজার ৩০০ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে কেউই এখনও পর্যন্ত জুন মাসের বেতন পাননি।