জমি বিতর্কে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাইতে বললেন অমর্ত্য সেন
জমি বিতর্কে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে পাল্টা আইনজীবীর চিঠি দিয়েছেন নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। চিঠিতে অমর্ত্য সেন জানিয়েছেন, জমি দখল করে রাখার মতো যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে উঠছে তা সম্পূর্ণ 'ভিত্তিহীন'। তার মতো 'নমস্য' ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ এনে তার সম্মানহানি করা হচ্ছে।
যেভাবে অমর্ত্য সেনকে একের পর এক চিঠি দেওয়া হচ্ছে তা বন্ধ করতে বলা হয়েছে আইনজীবীর চিঠিতে। এছাড়াও জমি বিতর্কে সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করার জন্য সংবাদমাধ্যমের সামনেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে জমি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার তৃতীয় চিঠি পেয়েছেন নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ। তাতে আগের দুটি চিঠির উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বিতর্কিত জমির মাপজোক করার জন্য দু'দিন সময় দিতে। তারই প্রেক্ষিতে শনিবার আইনজীবীর চিঠি পাঠিয়েছেন অমর্ত্য সেন।
চিঠিতে আইনজীবী লিখেছেন, "আমার মক্কেল বিশ্বজুড়ে নমস্য ব্যক্তি হিসাবে পরিচিতি। তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে যে ভাবে সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাতে করে তার মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে।"
চিঠিতে বিশ্বভারতীর জমি সংক্রান্ত অভিযোগকে 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের সামনে যেসব মন্তব্য করা হচ্ছে, তাতে তার মক্কেলের 'মানসিক শান্তি বিঘ্নিত' হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয়েছে এবং পুরনো বিবৃতির জন্য সংবাদমাধ্যমে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে চিঠিতে। ক্ষমা না চাইলে, আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বেআইনিভাবে বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন- এই অভিযোগ তুলে জানুয়ারিতে জমি ফেরত চেয়ে অমর্ত্য সেনকে চিঠি দিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে বলা হয়েছে, "আপনি (অমর্ত্য সেন) ওই জমি যত দ্রুত সম্ভব বিশ্বভারতীকে ফিরিয়ে দিন। তা নাহলে দেশের আইন আপনাকে এবং বিশ্বভারতী, যাকে আপনি খুব ভালবাসেন, দুই পক্ষকেই বিড়ম্বনায় ফেলবে। আপনি জানেন, অবৈধভাবে দখল করে রাখা জমি পুনরুদ্ধারে দেশে নির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে।"