এশিয়ায় চীনের দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য কৌশলে মার খাচ্ছে আমেরিকার স্বল্পমেয়াদি সামরিক কৌশল
ডুবোজাহাজের বিচরণ সাগরের অথৈ জলরাশির তলে। সঙ্গোপনে শত্রুর ওপর হামলা ও নজরদারিই তার লক্ষ্য। কিন্তু, তার চেয়ে গোপনীয়ভাবে উদ্দেশ্য হাসিল করে বাণিজ্যের সম্পর্ক। দুটি বিষয়ই নিরাপত্তার সাথে জড়িত- প্রথমটি রক্ষণাত্মক, আর দ্বিতীয়টি পারস্পরিক নির্ভরশীলতা তৈরি করে। তবে বাণিজ্যের নিরাপত্তাই বেশি স্থায়ী হয়।
সম্প্রতি চীনের আধিপত্য কমাতে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য করেছে অকাস চুক্তি। পারমাণবিক সাবমেরিন বিক্রির এ চুক্তিকে উপযুক্ত কৌশল মনে করছে পশ্চিমা বিশ্ব। কিন্তু সত্যিই কি তাই!
এমন চুক্তির বরখেলাপ খুবই সহজ। ফ্রান্সের তিক্ত অভিজ্ঞতাই তার উদাহরণ। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কারণেই অস্ট্রেলিয়ার সাথে দীর্ঘকালীন চুক্তি বাতিল হয়েছে প্যারিসের। হাজার হাজার কোটি ডলারের অ্যাটাক সাবমেরিনের ক্রয়াদেশ হারানো ফরাসি সরকারকে ক্ষুদ্ধ করলেও, তারা ছিল নিরুপায়।
বাণিজ্যের পারস্পরিক নির্ভরশীলতার সম্পর্ক কিন্তু এত সহজে ছিন্ন হবার নয়। সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পই সেটা ভালো বলতে পারবেন। তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করেও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোর মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বাঁধন আলগা করতে পারেননি। দর কষাকষির পর নতুন আরেকটি চুক্তিতে যেতে হয়েছে প্রতিবেশী কানাডা ও মেক্সিকোর সাথে।
ভারত ও প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চল বা ইন্দো-প্যাসিফিকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বল্পমেয়াদি ভূ-রাজনৈতিক খেলার সাথে এটাই বেইজিং এর দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের পার্থক্য।
যুক্তরাষ্ট্র অকাস নিরাপত্তা চুক্তির ওপর বাজি ধরেছে। যা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে অস্ট্রেলিয়াকে পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন সরবরাহের অঙ্গীকারের ওপর।
অপরদিকে, বাণিজ্যের পথ ধরে প্রতিবেশীদের জয় করার কৌশলে চলছে চীন। বিশেষত, আসিয়ানভুক্ত দক্ষিণপূর্ব এশীয় রাষ্ট্রগুলোর সাথে দিন দিন ঘনিষ্ঠ হচ্ছে এই সম্পর্ক। জোটটি বিশ্বের সবচেয়ে সফলও হয়ে উঠছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুক্তি অত্যন্ত সঠিক। অকাস চুক্তির তিনটি দেশ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বাঁধনে যুক্ত। আস্থা আছে পরস্পরের প্রতি। আসিয়ান জোটের ভূ-রাজনীতি সে তুলনায় বেশ জটিল।
যেমন মিয়ানমারের মতো অবাধ্য সদস্য দেশকে বাগে আনতে জোটটি তেমন সফল নয়। ক্রমবর্ধমান যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বৈরিতার পরিপ্রেক্ষিতে ঐক্যমতের আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া দেখাতেও হিমশিম খাচ্ছে আসিয়ান। এব্যাপারে প্রতিটি সদস্য দেশের রয়েছে ভিন্ন পররাষ্ট্র দৃষ্টিভঙ্গি। দক্ষিণ চীন সাগরের উত্তেজক ঘটনাবলীও তাই আসিয়ান শান্ত করার ভূমিকা রাখতে পারছে না।
সহজ কথায়, আসিয়ান নিজ সদস্যদেরই কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য করতে পারছে না। যুক্তরাষ্ট্র, চীন তো দূরঅস্ত। এ ব্যর্থতাও আসলে একটি শক্তি। যার বলে এই অঞ্চলে এবং তার বাইরে আসিয়ানের ওপর আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হচ্ছে।
সিঙ্গাপুরের কর্মকর্তা হিসেবে আজ থেকে ঠিক ৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালে আসিয়ানের একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলাম। সম্মেলন কক্ষে প্রবেশ করেই প্রতিষ্ঠাকালীন পাঁচ সদস্য দেশের পরস্পরের প্রতি গভীর অবিশ্বাসের আবহ বুঝতে পারি। দুই দশক পর আবার সিঙ্গাপুরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দেই। সেবার সন্দেহের গভীর মেঘমুক্ত ছিল বৈঠক। তার জায়গা দখল করে- আলোচনার মাধ্যমে সকলের সম্মতিতে সিদ্ধান্তের উদ্যোগ। পরামর্শ ও সম্মতির এই চর্চা ভূ-রাজনৈতিক বিস্ময় সৃষ্টি করেছে; কিছু উন্নতি এতটাই গোপনে আসে যা এই অঞ্চলের বাইরের দেশগুলো সেভাবে উপলদ্ধিও করেনি।
তাই ওয়াশিংটন চাইলে সীমাবদ্ধতার আগল খুলে পূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব এশীয় দেশের সাথে করতে পারে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। অথবা অস্ট্রেলিয়ার কাছে সাবমেরিন বিক্রিকেই ধ্যানজ্ঞান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে থাকতে পারে।
স্মরণে রাখা উচিত, ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়ে আসিয়ান জোটের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন দিয়েছে। যে কারণে তখন তুঙ্গে ছিল ভিয়েতনাম ও আসিয়ানের মধ্যেকার বৈরিতা ও অবিশ্বাস। কিন্তু, স্নায়ুযুদ্ধের অবসানের পর আসিয়ানের আঞ্চলিক অর্থনৈতিক বলয়ে যোগ দেয় ভিয়েতনাম। এরপর দেশটি হয়ে উঠেছে এশিয়ার অর্থনৈতিক বিস্ময়।
আসিয়ানে যোগ দিয়ে ভিয়েতনাম একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নিয়েছে। দেশটি বুঝতে পেরেছে বাণিজ্যের মাধ্যমে খোদ প্রতিদ্বন্দ্বীরও আস্থা অর্জন সম্ভব। এই পথেই দেশটি আসিয়ানের অন্য সদস্যদের আস্থা জয় করেছে।
ভারতীয় উপমহাদেশে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের এই ঘাটতি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কোন্নয়নে চিরকালীন বাধা। ১৯৯১ সালে পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে যে বাণিজ্য ছিল, তা তিনগুণ হতে লেগেছে ২০২১ সাল। ১৯৭৯ সালে ভিয়েতনামও চীনের সাথে যুদ্ধ করেছে। কিন্তু, ২০২১ সাল নাগাদ দুই দেশের বাণিজ্য বেড়েছে ৬ হাজার গুণ। সরল কথায়, আসিয়ানের শলাপরামর্শ ও সম্মতির মাধ্যমে সিদ্ধান্তের চর্চা- নিশ্চিত করেছে আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধি।
আসিয়ানের আরেকটি বড় অর্জন- জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্কের পরিধি সম্প্রসারণ।
যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও; দেশ দুটিকে আন্তরিক আলোচনায় বসাতে ওয়াশিংটন বার বার ব্যর্থ হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিওল ও টোকিওর ভেতর পরামর্শ বা সম্মতির কোনো প্রচেষ্টাও সেভাবে চোখে পড়েনি। তবুও উভয় দেশকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আরসেপ (রিজিওনাল কম্প্রেহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ) সই করাতে রাজি করায় আসিয়ান। এই চুক্তি তাদের নিজস্ব মুক্ত-বাণিজ্যকেই বাড়াবে তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের বৈরি চীনের সাথেও পাবে নতুন মাত্রা।
২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ আসিয়ানভুক্ত ১০টি দেশ আরসেপ সই করে। এই চুক্তির সবচেয়ে বেশি সুফল উঠবে চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ঘরেই। আসিয়ানের বিশাল ও অভাবনীয় এ অর্জনকে ভালো করে লক্ষ্যই করেনি পশ্চিমা বিশ্ব।
যদিও এ জোটকে যুক্তরাষ্ট্রের বেশি গুরুত্ব দেওয়াই উচিত ছিল।
ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে শীর্ষ চার মার্কিন নীতি-নির্ধারক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। তাদের প্রত্যেকের বক্তব্যেই আসছে আসিয়ান জোট, এর সদস্য কোনো দেশ বা অস্ট্রেলিয়ার নাম।
সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত অস্ট্রেলিয়ার নাম। কারণ সত্যিকার অর্থেই অস্ট্রেলিয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ আন্তরিক ও অকৃত্রিম। এই সম্পর্কই অকাস চুক্তিকে ব্যাখ্যা করে।
তবে ভূ-রাজনীতি অনেক নির্দয়। এখানে আবেগ প্রাধান্য পেলে চরম মূল্য দিতে হয়। এগিয়ে যায় প্রতিপক্ষ।
বেইজিং যদি এভাবে আসিয়ান ও আরসেপে মনোনিবেশ করে; আর যুক্তরাষ্ট্র যদি অকাস চুক্তি নিয়ে পড়ে থাকে- তাহলে দিনশেষে বেইজিং-ই জিতবে।
যার প্রধান কারণ - সামরিক নয় বরং অর্থনীতির বিশাল প্রতিযোগিতা। ২০০০ সালে আসিয়ান সদস্যদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল সাড়ে ১৩ হাজার কোটি ডলার। চীনের ছিল ৪ হাজার কোটি ডলার। কিন্তু, ২০২০ সাল নাগাদ চীনের সাথে আসিয়ানের মোট বাণিজ্য পৌঁছে যায় সাড়ে ৬৮ হাজার কোটি ডলারে। যা যুক্তরাষ্ট্রের ৩৬ হাজার ২০০ কোটি ডলারের প্রায় দ্বিগুণ।
ওয়াশিংটনের কাছে তার মিত্র জাপান এখনও এক অর্থনৈতিক পরাশক্তি। ২০০০ সনে জাপানের অর্থনীতি ছিল আসিয়ানের মোট অর্থনীতির ৮ গুণ। ২০২০ সাল নাগাদ যা মাত্র দেড় গুণ বড় রয়েছে। ২০৩০ সালে আসিয়ান অর্থনীতির তুলনায় জাপান পিছিয়ে পড়বে।
এই উপলদ্ধি থেকেই আসিয়ানের সাথে চীনের সম্পর্ক সর্বব্যাপী ও গভীর। চীনা অর্থায়নে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, লাওস ও থাইল্যান্ডে তৈরি হচ্ছে উচ্চগতির রেলপথ। হ্যানয় ও বেইজিং এর মধ্যেকার অবিশ্বাস সত্ত্বেও ভিয়েতনামের রাজধানীতে মেট্রোরেল চীনই তৈরি করছে।
মহামারির চরম বিপদের মুহূর্তে যখন দক্ষিণপূর্ব এশিয়া টিকা পাওয়ার জন্য ব্যাকুল ছিল- তখন চীনই প্রথম টিকা পাঠায়। সাগ্রহে টিকা নেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও প্রভাবশালী আঞ্চলিক নেতা জোকো উইডোডো।
আসিয়ানের সকল রাষ্ট্রের সাথে চীনের নিষ্কন্টক সম্পর্ক নেই। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে রয়েছে জটিল অনেক চ্যালেঞ্জ। তারপরও, তাদের সবার সাথে চীনের সহযোগিতার গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে সাফল্যই বলতে হয়।
আসিয়ান জোটের মিলিত অর্থনীতি ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে, কারণ প্রবৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা কেবল উন্মোচিত হচ্ছে। এই অঞ্চলের অনেক দেশই মধ্য আয়ের দেশে উত্তরণের কাছাকাছি রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ায় মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংখ্যা ২৫ মিলিয়ন। অচিরেই কয়েকশ মিলিয়ন ছাড়াবে আসিয়ান জোটের মধ্যবিত্ত সংখ্যা। এই উন্নতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক ডিজিটাল অর্থনীতি। ২০২০ সালে আসিয়ানের ডিজিটাল অর্থনীতির মূল্যায়ন ছিল ১৭ হাজার কোটি ডলার। ২০৩০ সালে যা ১ লাখ কোটি ডলার হবে।
আঞ্চলিক ডিজিটাল অর্থনীতির এ বিপুল বিস্ফোরণ পরস্পর নির্ভরতার নতুন জাল বুনবে। ফলে একে-অপরের ওপর নির্ভরতার যে বাস্তুসংস্থান এখন বিকশিত হচ্ছে- তা আরও ব্যাপক হবে।
তাই, ওয়াশিংটনের সামনে কৌশলগত সিদ্ধান্তের পরিণতি এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। হয় মার্কিনীরা অস্ট্রেলিয়ার কাছে সাবমেরিন বিক্রিকে প্রাধান্য দেবে; নয়তো করতে হবে পূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি।
যুক্তরাষ্ট্রের মেধাবি কূটনীতিক ও বাণিজ্য আলোচকদের পরিকল্পনার ফসল ছিল- ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ চুক্তি- টিপিপি। তবে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই টিপিপি থেকে সরে যায়। পুরোনো মডেলের ওপর ভিত্তি করেই হয় সংশোধিত নয়া টিপিপি। অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জটিলতায় যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তিতে ফেরার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারবে না। অপরদিকে, এরমধ্যেই তাতে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন।
তাই দিনশেষের প্রশ্ন: ওয়াশিংটন কি এশিয়ার বৃহৎ অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতায় আবারো ফিরতে পারবে? উত্তর হলো- কিছু সম্পদ ও সুবিধার কারণে চাইলেই পারবে। আসিয়ানের সাথে চীনের বাণিজ্য অনেক বেশি হলেও; আসিয়ানে আমেরিকানদের বেসরকারি বিনিয়োগ চীনের চেয়ে অনেকগুণ বেশি।
২০১৯ সালে আসিয়ান দেশগুলোয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৩১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। সে তুলনায় চীনা বিনিয়োগ ছিল মাত্র ১১ হাজার কোটি ডলার। এই অঞ্চলের বিস্ফোরক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা মাথায় রেখে যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্ভাবনী কৌশল নিতে পারে। এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি যে সদিচ্ছা এখনও অবশিষ্ট আছে তার সুযোগও পাবে ওয়াশিংটন।
বিশ্বের প্রধান পরাশক্তিকে সাবমেরিন বিক্রিতে বেশি মনোযোগ দেওয়ার চেয়ে ইন্দো-প্যাসিফিকের সাথে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের সম্পর্ক দৃঢ় করতে হবে। দিনশেষে, এটাই অর্থনীতির খেল- যেখানে হার কোনোমতেই সুখের হয় না।
- লেখক: সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সম্মানীয় ফেলো কিশোর মাহবুবানি। তার লেখা একটি সমাদৃত বই- 'হ্যাজ চায়না ওন? দ্য চাইনিজ চ্যালেঞ্জ টু আমেরিকান প্রাইমেসি।'
- সূত্র: ফরেন পলিসি থেকে অনূদিত