ইউক্রেনের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে সেনা মোতায়েন করবে ন্যাটো
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান শুরু করেছে রাশিয়ার সামরিকবাহিনী। চলমান পরিস্থিতিতে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পশ্চিমা সামরিকজোট ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রথমবারের মতো সক্রয় করা হচ্ছে বিশেষ এই বাহিনীকে। ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ শুক্রবার বলেছেন, ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলোতে নিরাপত্তার স্বার্থে কয়েক হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হবে; পাশাপাশি রাশিয়ার আক্রমণের পর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোও অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। খবর আল জাজিরার।
ন্যাটোর প্রধান কমান্ডার জেনারেল টড ওলটার্স জানিয়েছেন, স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথের সেনাদের পাশাপাশি বিশেষ সেনাদেরকেও সক্রিয় করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো দেশগুলো ইউক্রেনকে সমর্থনে করলেও প্রত্যক্ষ সংঘাতে তারা যাবে না বলে আগেই স্পষ্ট করেছিল। তাই ন্যাটোকে সক্রিয় করলেও এই বাহিনী ইউক্রেনে গিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংঘর্ষে জড়াবে না। রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরূদ্ধে নিরাপত্তাজনিত কারণেই ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে সাহায্য করতে পূর্ব ইউরোপে সৈন্য মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
ন্যাটো রেসপন্স ফোর্সে মোট ৪০ হাজার সেনা রয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে কত জনকে সক্রিয় করা হয়েছে তা নিয়ে এখনও কোনো বিবৃতি দেয়নি ন্যাটো। সংগঠনটির মহাসচিব স্টলটেনবার্গ শুক্রবার আরও জানান, ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের অবসান ঘটাতে ক্রেমলিনের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য ন্যাটো জোটকে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, "আমাদের সব কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এমনকি যদি আমাদের এর জন্য উপযুক্ত মূল্য দিতে হয়, তাও দিতে হবে। আমাদের এই পরিস্থিতিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। ঠিক এই কারণেই আমরা প্রথমবারের জন্য ন্যাটো রেসপন্স ফোর্স মোতায়েন করছি।"
শুক্রবার সকালে ন্যাটো দেশগুলোর শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ফোনালাপের পর রেসপন্স ফোর্স সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য পুতিনের হুমকির মোকাবিলায় ন্যাটো ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
- সূত্র: আল জাজিরা