রাশিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতা ‘ভীতিকর’: অ্যাঙ্গেলা মেরকেল
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার রোধে জড়িত সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার আহ্বান জানিয়েছেন জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল।
সম্প্রতি রাশিয়া তাদের পারমাণবিক নীতিমালা হালনাগাদ করেছে এবং ইউক্রেনে নতুন মাঝারি পাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। পশ্চিমা দেশগুলো কিয়েভকে বিদেশি দীর্ঘ পাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেয় রাশিয়া।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২০০৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মেরকেল রাশিয়ার সামরিক শক্তির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, "রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তি, অথবা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলিয়ে দুই বৃহত্তম শক্তির একটি। এই সক্ষমতা ভীতিকর।"
তিনি আরও বলেন, "ভয় পেয়ে স্থবির হওয়া যাবে না, তবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ঘটনা এড়াতে আমাদের সবকিছু করতে হবে।"
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে "সকল পক্ষকে শান্ত থাকার" এবং "সংলাপের মাধ্যমে উত্তেজনা কমানোর" আহ্বান জানায়। এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন অ্যাঙ্গেলা মেরকেল।
রাশিয়া সম্প্রতি তাদের পারমাণবিক নীতিমালা হালনাগাদ করেছে। নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, পারমাণবিক অস্ত্র নেই এমন কোনো রাষ্ট্র যদি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সহায়তায় রাশিয়ার ভূখণ্ডে আক্রমণ চালায়, তবে রাশিয়া পারমাণবিক প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।
ইউক্রেন সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এটাকমস এবং হাইমারস সিস্টেম, ব্রিটেনের স্টোর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার অভ্যন্তরে আঘাত হেনেছে। আবার, ফ্রান্সের তৈরি স্ক্যাল্প-ইজি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতিও পেয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, এসব হামলা ইউক্রেন সংঘাতকে বৈশ্বিক পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। মস্কোর দাবি, পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তা এবং তথ্যের ভিত্তি ছাড়া ইউক্রেনের পক্ষে এসব আক্রমণ চালানো সম্ভব নয়।
পশ্চিমা অস্ত্রের সাহায্যে চালানো হামলার প্রতিক্রিয়ায় গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের দিনেপ্রোপেত্রোভস্ক শহরের একটি সামরিক শিল্প স্থাপনায় আঘাত হানে রাশিয়া। এই হামলায় রাশিয়ার নতুন ওরেশনিক পারমাণবিক সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে, যাতে প্রচলিত ওয়ারহেড সংযুক্ত ছিল।