রাশিয়ার কাছে পশ্চিমা ব্যাংকের পাওনা ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি, নেই ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা
ইউক্রেন আক্রমণের পর রাশিয়া থেকে বেরিয়ে আসা প্রথম কোনো বড় পশ্চিমা ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস। বিলিয়ন ডলার খরচ করে অন্যান্য ব্যাংকেরও গোল্ডম্যানের পথ অনুসরণ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার গোল্ডম্যানের একজন মুখপাত্র বলেন, 'কমপ্লায়েন্স এবং লাইসেন্সের নিয়ম মেনেই রাশিয়ায় কার্যক্রম বন্ধ' করছে তারা।
এদিকে, রেটিং এজেন্সিগুলো ইতোমধ্যেই সতর্ক করেছে যে, রাশিয়ান ঋণ খেলাপি আসন্ন।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সদস্যপদ স্থগিতকারী ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্ট জানায়, রাশিয়ার কাছে আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোর ১২১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি পাওনা রয়েছে।
ইউরোপীয় ব্যাংকগুলো মোট ৮৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি দাবি রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণদানকারী ব্যাংকগুলো ফ্রান্স, ইতালি এবং অস্ট্রিয়ার। অন্যদিকে রাশিয়ায় মার্কিন ব্যাংকগুলোর দেওয়া ঋণের পরিমাণ ১৪.৭ বিলিয়ন ডলার।
গোল্ডম্যান স্যাকস এর আগে জানায়, ২০২১ এর ডিসেম্বরে তাদের ৬৫০ মিলিয়ন ডলারের ক্রেডিট এক্সপোজার ছিল।
ক্ষতির আশঙ্কা থাকলেও রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছে অন্যান্য ব্যাংক। এই 'অর্থনৈতিক যুদ্ধের জন্য পশ্চিমা বিশ্বকে দায়ি করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
তবে, পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি জানিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার কিছু ব্যাংক ইতোমধ্যেই জানিয়েছে, ক্রেমলিন তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত বা জাতীয়করণ করতে পারে।
ফরাসি ব্যাংক সোশিয়েট জেনারেল (এসসিজিএলএফ) গত সপ্তাহে জানায়, তারা 'সকল প্রয়োজনীয় আইন ও নীতিমালা মেনে চলছে এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রকাশ করার পরই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে'।
ব্যাংকটি জানিয়েছে, গত বছরের শেষদিকে রাশিয়ার কাছে তাদের প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলারের এক্সপোজার ছিল।
এদিকে বুধবার ফ্রান্সের বিএনপি পারিবাস জানিয়েছে, রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ের কাছেই এর এক্সপোজার মোট ৩.৩ বিলিয়ন ডলার।
বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি মোকাবেলার বিষয়ে বলেছে, ইউরোপের আর্থিক ব্যবস্থায় যথেষ্ট তারল্য রয়েছে এবং চাপের লক্ষণও রয়েছে।
"আমরা যে স্ট্রেইন এবং উত্তেজনা দেখছি তা মহামারির শুরুতে ঘটা সমস্যার চেয়েও বেশি," বলেছেন ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট লুই ডি গিন্ডোস।
- সূত্র: সিএনএন