মহামারির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৯৩ লাখ কর্মসংস্থান কমেছে: এডিবি
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ৯৩ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মহামারির সময় সংক্রমণ রোধে দেওয়া লকডাউনের কারণে এসব অঞ্চলের পর্যটনসহ অন্যান্য আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যাওয়া এর কারণ। এডিবির প্রতিবেদনের বরাতে এ কথা জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।
কর্মসংস্থান কমে যাওয়ায় গত বছর ৪৭ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্য সীমায় প্রবেশ করে, জীবনধারণের জন্য দৈনিক ব্যয় নেমে আসে ১.৯০ ডলারেরও নিচে। গত বুধবার প্রকাশির এডিবির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
পাশাপাশি, এ অঞ্চলে লকডাউনে চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপের কারণে চলমান অসমতাও আরও বেড়ে যায়। অনানুষ্ঠানিক খাত- যেখানে নারী আর তরুণ জনগোষ্ঠী ও অদক্ষ কর্মীদের কর্মসংস্থান হয়ে থাকে, এসব খাতের ওপর বিধি-নিষেধের প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি।
"দারিদ্র্য ও বেকারত্বের ওপর মহামারির যে প্রভাব পড়েছে তা সম্ভবত অব্যাহত থাকবে। কারণ কাজ করছে না এমন কর্মীদের দক্ষতা কমতে থাকবে আর দরিদ্র্য জনগোষ্ঠীর সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা আরও সংকুচিত হবে", বলা হয় এডিবির ওই প্রতিবেদনে।
তবে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রায় ৬০ শতাংশ জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় আসায় আর চলাচলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় আশার আলো দেখা যাচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনটিতে।
এদিকে, এ বছর ৫.১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে। যদিও ওমিক্রনের প্রভাবে এ প্রবৃদ্ধি ০.৮ শতাংশ পয়েন্ট কমতে পারে।
এডিবি বলছে, ছোট ব্যবসায় ডিজিটাল টুলের ব্যবহার এবং কাজ হারানো কর্মীদের জন্য দক্ষতা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে নিউ নরমাল সময়ের কর্মপরিবেশে কর্মীরা পিছিয়ে পড়বে না তা নিশ্চিত করা যাবে।
"জিডিপির ৫ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করলেও তা পরিস্থিতির উন্নতি করে প্রবৃদ্ধিতে ১.৫ শতাংশ পয়েন্ট যোগ করবে"।