সুপ্রিম কোর্টে ইমরান পরাস্ত, শনিবার অনাস্থা ভোট
গত ৩ এপ্রিল, পাকিস্তানের রাজনীতিতে ঘটে যায় লঙ্কাকাণ্ড। বিরোধী দলগুলো প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে এনেছিল অনাস্থা প্রস্তাব, যার ওপর ভোটাভুটি সেদিন বাতিল করেন জাতীয় পরিষদের নিম্নকক্ষের ডেপুটি স্পিকার কাশিম সুরি। এরপর ইমরানের পরামর্শে জাতীয় পরিষদ (পার্লামেন্ট) ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এসব সিদ্ধান্তকে বাতিল ঘোষণা করেছেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট।
সর্বোচ্চ আদালতের পাঁচ বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বেঞ্চের পাঁচ জনই এ রায়ের পক্ষে ভোট দেন। আজ বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রায় ঘোষণা করা হয়।
আদালত প্রেসিডেন্ট আলভির জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত 'অবৈধ' ঘোষণার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানসহ তার মন্ত্রিপরিষদকে পুনর্বহাল করেছেন।
দেশটির গণমাধ্যম দ্য নিউজে আদালতের রায় উদ্ধৃত করে বলা হয়, "প্রেসিডেন্টের কাছে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পরামর্শদানের অধিকার ছিল না প্রধানমন্ত্রীর, তাই এপর্যন্ত নেওয়া সকল সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণা করা হলো।
রায়ের প্রেক্ষিতে আগামী শনিবার (৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় জাতীয় পরিষদের পুনঃঅধিবেশনের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলেছেন, ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা ভোটের বিষয়টির সমাধান ছাড়া অধিবেশন স্থগিত রাখা সম্ভব নয়। অর্থাৎ, ওইদিন অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে।
রায় ঘোষণার সময় পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ওমর আতা বান্দিয়াল বলেছেন, কেবল জাতীয় স্বার্থ ও বাস্তবিক সম্ভাবনা মাথায় রেখেই আদালত তার সিদ্ধান্ত নেয়।
এসময় তিনি ডেপুটি স্পিকারের সিদ্ধান্তকে 'প্রিমা ফ্যাসি' ও সংবিধানের ৯৫নং অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন বলে একে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেন।
সর্বোচ্চ আদালতের পাঁচ সদস্যের বর্ধিত বেঞ্চের প্রধান বিচারপতি বান্দিয়ালের সাথে আরো ছিলেন, বিচারক মুনিব আখতার, বিচারক আইজাউল আহসান, বিচারক মাজহার আলম ও বিচারক জামাল খান মান্দোখেল।
উল্লেখ্য, ডেপুটি স্পিকার ও প্রেসিডেন্টসহ ইমরান খানের কর্মকাণ্ডকে 'অসাংবিধানিক' উল্লেখ করে গত ৩ এপ্রিলই সুপ্রিম কোর্টে সুয়োমোটো মামলা করা হয়।
- সূত্র: দ্য ডন, জিও নিউজ