মরিয়া ইমরান সেনাপ্রধানকে সরাতে চেয়েছিলেন!
পাকিস্তানি সেনার আস্থাভাজন হয়েই ২০১৮ সালে পাকিস্তানের গদিতে বসেছিলেন ইমরান খান নিয়াজি। পাকিস্তানকে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক অবশ্য দেশের নেতা হিসেবে নিজের মেয়াদ শেষ করতে পারলেন না। মধ্যরাতের নায়কীয় ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী পদ খোয়ালেন ইমরান খান।
এখন শোনা যাচ্ছে, এর আগেই পাকিস্তান সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাবেদ বাজওয়াকে সরাতে চেয়েছিলেন ইমরান খান। উল্লেখ্য, আইএসআই প্রধান নিয়োগকে ঘিরে সেনাপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, তা শেষ পর্যন্ত চলতে থাকে। ইমরানের আমেরিকা বিরোধী মন্তব্যের মাঝেই জেনারেল বাজওয়া আমেরিকাকে 'গুরুত্বপূর্ণ পার্টনার' বলে অভিহিত করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে নিজের গদি বাঁচানোর শেষ চেষ্টায় সেনাপ্রধানকে অপসারিত করতে চেয়েছিলেন ইমরান খান। এমন দাবি বিবিসি ঊর্দুর এক রিপোর্টে। যদিও সেখানে সরাসরি পাক সেনাপ্রধানের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
জানা গেছে, পাকিস্তান সেনাপ্রধানকে অপসারিত করার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছিলেন ইমরান খান। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি।
প্রসঙ্গত, গতকাল পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ১৩ ঘণ্টা লম্বা অধিবেশন চলে। সেই সময়ই হেলিকপ্টারে করে ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়েছিলেন সেনাপ্রধান। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, 'হেলিকপ্টারে করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছানো এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাকে অপসারণের চেষ্টা করেন ইমরান খান।' এর আগে এক পিটিআই সাংসদও দাবি করেছিলেন, পাক সেনাপ্রধানকে সরিয়ে বাহিনীর অভ্যন্তরে বিদ্রোহ ঘটাতে চেয়েছিলেন ইমরান খান।
যদিও মিডিয়া রিপোর্টকে খারিজ করে দেয় পাক সেনা ও প্রধানমন্ত্রীর অফিস। রোববার পাকিস্তান সেনাবাহিনী বিবিসি ঊর্দুর প্রতিবেদনটিকে 'সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং প্যাকেটভর্তি মিথ্যা' বলে আখ্যা দেয়। পাশাপাশি পাক সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরও অভিযোগ করা হয়, 'একটি সংগঠিত বিভ্রান্তিমূলক প্রচার' এই দাবি।
সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'এই প্রচারমূলক গল্পে নির্ভরযোগ্য, খাঁটি এবং প্রাসঙ্গিক উৎসের অভাব রয়েছে এবং এটি মৌলিক সাংবাদিকতার নীতি লঙ্ঘন করে।'
- সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস