চা এবং আধুনিক ভোক্তার উৎস
বিশ্বায়নের কথা ভাবতে গেলে আমাদের মনে কোকাকোলা এবং ম্যাকডোনাল্ডের ছবি ভেসে ওঠে। এ ছাড়া নাইকি, অ্যাপল, স্যামসাং কিংবা আরও অসংখ্য বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কথাও ভাবতে পারি আমরা। এই অধিকার আমাদের রয়েছে বৈকি। এসব বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান আক্ষরিক অর্থেই দুনিয়াজুড়ে অগুনতি ভোক্তা ও কর্মীবাহিনীর বস্তুগত অভিজ্ঞতাকে রূপ দেয়। অবশ্য সব প্রতিষ্ঠান এবং পণ্য কিন্তু ভোক্তাদের তরফে সমান মাত্রায় বৈশ্বিক স্বীকৃতি পায় না। এদের উপকরণ সম্পর্কে ভোক্তার অজ্ঞতা, বিশেষত কর্মপরিবেশের উন্নতি কিংবা পরিবেশদূষণের মতো ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনের পক্ষে ক্রয়ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ কঠিন করে তোলে। অ্যাক্টিভিস্টরা ভালো করেই জানেন যে ভোক্তাদের তাদের কেনা পণ্যের দীর্ঘমেয়াদি এবং দূরবর্তী প্রভাব উপলব্ধিতে অনুপ্রাণিত করা একটি চ্যালেঞ্জ।
পণ্ডিতমহল, অ্যাক্টিভিস্ট এবং করপোরেট বিপণনকারী-নির্বিশেষে সবাই ভোক্তাদের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক পছন্দকে জ্ঞান প্রভাবিত করার বিষয়টি জানার আপ্রাণ প্রয়াস পান। আজকের দিনে আমরা যেভাবে নিষ্ক্রিয় বা সক্রিয় অর্থে ভোক্তার কথা বলি, সেটা সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক পরিবেশেরই উত্তরাধিকার। এই পরিবেশেই অন্ততপক্ষে ১৭ শতক থেকে বণিক এবং শিল্প পুঁজিবাদ গড়ে উঠেছে। সুনির্দিষ্টভাবে ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদের বিকাশের সাথে হাত হাত রেখেই এই সময় ভোক্তার আধুনিক ধারণা গড়ে ওঠে।
বিশেষ করে চায়ের ইতিহাস আধুনিক ভোক্তার সাম্রাজ্যবাদী উৎসকে তুলে ধরার পাশাপাশি পুঁজিবাদ, রাজনীতি এবং অ্যাক্টিভিজমের গোলকধাঁধাসুলভ সম্পর্ক নিয়ে চিন্তার প্রেক্ষাপটও জোগায়। বর্তমানে বৃহৎ উৎপাদক দেশ যেমন চীন, ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং কেনিয়াসহ প্রায় ২৪টি দেশে চা উৎপন্ন হয়। বিজ্ঞাপন এবং মোড়ক প্রায়ই পানীয়টির 'বৈচিত্র্য'ময় উৎস এবং দূরপাল্লার সফরের কথা বলে। আবার চা পানকে একান্ত, ঘরোয়া, নিবিড়, মেয়েলি এবং পারিবারিক রূপ দেওয়ার বেলায়ও প্রচুর বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়েছে। বৈশ্বিক চা বাণিজ্য এবং বিজ্ঞাপনশিল্পের ক্যাঠামোগত বিকাশ থেকে এই উষ্ণ পানীয়টির বৈশ্বিক এবং অভ্যন্তরীণ উপলব্ধি এসেছে। সেটা বিশেষভাবে ১৯ ও ২০ শতকের গোড়ার দিকের জাতি ও সাম্রাজ্য; লিঙ্গ, বর্ণ ও শ্রেণির ধারণার সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। নারী-পুরুষ, রাষ্ট্র-জনতা, সক্রিয়তা-নিষ্ক্রিয়তা সম্পর্কে উনিশ শতকের প্রচলিত ধারণাই পুঁজিবাদের ঠাস বুননের ভেতর ঠাঁই করে নিয়েছে।
আধুনিককালের গোড়ার দিকে চিনি, তুলা, কফি ও তামাকের বিপরীতে চায়ের উৎপাদন বা চাষের বিশ্বায়ন ঘটেনি। চীনারা ১৯ শতকের একেবারে শেষদিকে ব্রিটিশদের হাতে নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত চায়ের উৎপাদন ও রপ্তানিতে একচেটিয়া প্রাধান্য বজায় রাখে। ১৭ ও ১৮ শতকে সম্ভ্রান্ত ইউরোপীয় ও আমেরিকান ভোক্তারা অংশত বিদেশি 'বিচিত্র' ধরনের বলেই চা পান করতেন। চীনে এর রহস্যময় উৎস ব্যয়বহুল এই পানীয়র আলাদা মূল্য যোগ করে। চা-কে আবার পাশ্চাত্যের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের প্রাচ্যের ওষুধও মনে করা হয়েছে। যেমন ১৬৯০ সালের একটি ব্রডসাইডে 'চীন ও জাপানে উৎপাদিত ভেষজ গাছকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত নিখুঁত স্বাস্থ্য বজায় রাখার' উপায় হিসেবে তুলে ধরা হয়। ভোক্তা এবং কবিরাজরা চা বা চীন সম্পর্কে বলতে গেলে কিছুই জানতেন না। কিন্তু তারা চায়ের চীন থেকে আসার এবং মাথাব্যথা থেকে শুরু করে এর অসংখ্য রোগ সারানোর ক্ষমতা সম্পর্কে ভালোভাবেই ওয়াকিবহাল ছিলেন।
অবশ্য ১৯ শতকে চীন এবং পাশ্চাত্যের সম্পর্কের অবনতি ঘটায় ইউরোপীয়রা চীনকে ক্রমবর্ধমান হারে নানা রোগের উৎস হিসেবে ভাবতে শুরু করে। ১৮৩০ দশকে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত আসামে প্রতিষ্ঠিত নতুন চা-শিল্প চীন সম্পর্কে বেড়ে ওঠা উদ্বেগেরই আংশিক ফল ছিল। চীনা পণ্য সম্পর্কে ভোক্তাদের মনে ভীতিকে উসকে দিয়েই এটা সাফল্যের মুখ দেখে। ১৯ শতকের মাঝের পুরো সময়টা চা উৎপাদক এবং খুচরা বিক্রেতারা প্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার ভেতরের পার্থক্য সম্পর্কে বিভিন্ন গল্প ভোক্তাদের শুনিয়েছেন। ব্রিটিশ উৎপাদকেরা ভারত এবং পরে সিলোনে ইউরোপীয় ব্যবস্থাপকদের তদারকিতে উৎপাদিত হওয়ায় তাদের চা আধুনিক এবং চীনে উৎপাদিত চায়ের সমস্ত অস্বাস্থ্যকর ভেজাল থেকে মুক্ত বলে প্রচার করেছে। ভোক্তারা চীনকে নিয়ে বিশেষ কেচ্ছাকাহিনির পাশাপাশি পরোক্ষে ভারতসম্পর্কিত কাহিনিও শুনেছে, যার মোদ্দা কথা, ইউরোপীয়দের পণ্য উৎপাদন, মোড়কবব্ধ এবং বিপণন তদারকি নিশ্চিত করাই বৈশ্বিক পণ্য ভোগের নিরাপদ উপায়। অর্থাৎ ইউরোপীয় উপনিবেশবাদই বৈশ্বিক পণ্যকে নিরাপদ এবং প্রীতিকর করে।
রপ্তানিকৃত চায়ের ৭০ ভাগেরও বেশি সাম্রাজ্যে উৎপাদিত হয় এবং প্রায় ৭০ ভাগই সাম্রাজ্যে ভোগ করা হয়। চা উৎপাদনে নিয়োজিত মোট মূলধনের তিন ভাগেরও বেশিই জোগান দিয়েছে সাম্রাজ্য। ভারত এবং সিলোনে বসানো সমস্ত সরঞ্জামই ইউরোপীয় উৎসের এবং চা পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত বাক্সের ৬০ ভাগের বেশি সাম্রাজ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়।
অবশ্য ১৯৩১ সালে বৈশ্বিক পুঁজিবাদে ধস নামলে এই সাম্রাজ্যবাদী শিল্পটি ভেঙে পড়ে। চা-শিল্প শ্রমিক ও অন্যান্য ব্যয় সংকোচন করে, সংরক্ষণবাদী নীতির প্রতি সমর্থন দেয় এবং ১৯৩৩ সালে উৎপাদন হ্রাসের জন্য আন্তর্জাতিক চুক্তিতে উপনীত হয়। শিল্পটি বৈশ্বিক ব্যাপক বাজার গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিপুল বিনিয়োগও করে।
বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানি ও বাগানমালিকদের সংগঠন ব্রিটিশ/সাম্রাজ্যের পণ্য কেনার জাতীয়তাবাদী প্রচারাভিযানের উদ্যোগ নেয়। এসব বিজ্ঞাপন ব্রিটিশ ভোক্তাদের সাম্রাজ্যের পক্ষে কেনাকাটা আসাম এবং ম্যানচেস্টারের লোকদের কাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে প্রচার করে। ব্রিটিশ চা উৎপাদক এবং বণিকেরা ভোক্তাদের ওপর সাম্রাজ্যের পক্ষে কেনাকাটার, ক্রেতাদের ওপর সাম্রাজ্যে উৎস খোঁজার এবং রাজনীতিকদের ওপর সাম্রাজ্য রক্ষার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। চায়ের বিজ্ঞাপনে ভোক্তাসাধারণকে সম্ভব হলেই চা কিনে, দোকানে চা খুঁজে বন্ধুদের চা পানে উৎসাহিত করে 'সাম্রাজ্যের চায়ের চাহিদা তৈরি' এবং দেশীয় বাজারে এই ধরনের চায়ের নিরাপত্তা আদায়, 'সাম্রাজ্যের চা-কে' 'সক্রিয় সহযোগিতা' দানের দাবি জানায়। বিভিন্ন ধরনের ছবি, দোকানের অভ্যন্তরীণ অঙ্গসজ্জা, প্রদর্শনী এবং সিনেমায় চায়ের ব্রিটিশভারত, সিলোন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকা থেকে আগমনের কথা উল্লেখ করে প্রচারণা চলে। ভোক্তাদের চীনা চায়ের মতো বিদেশি বিকল্প এড়াতে এবং সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে এই ধরনের বৈশ্বিক জ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
অবশ্য বছর দুয়েকের মধ্যেই বড় বড় ব্র্যান্ড, বণ্টনকারী এবং ভোক্তাদের দরাজ সমর্থন উৎপাদক ও বিজ্ঞাপনদাতাদের ভোক্তার মনে দেশপ্রেমের আবেদন সৃষ্টি ঠিক বা আদৌ সম্ভব কি না, এমন প্রশ্ন তুলতে তাড়িত করে। ১৯৩০-এর দশকের শেষ দিকে চায়ের বিজ্ঞাপনে চা পানের দৈহিক ও সামাজিক আনন্দকেই বড় করে তুলে পণ্যটির ঔপনিবেশিক ধরনকে গুরুত্বহীন করে দেয়। এই ধরনের বিজ্ঞাপনগুলো চা-কে সাম্রাজ্যের পণ্যের বদলে বরং পারিবারিক পানীয় হিসেবে প্রচার করেছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি চা উৎপাদন ও বণ্টনের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক ধরনের সাথে মানানসই এবং শ্রমিকশ্রেণি এবং অশ্বেতাঙ্গ ভোক্তাদের বিজ্ঞাপন পাঠ সম্পর্কে সমসাময়িক ধারণার সাথে মিলে যায়। চা-বাগানের রীতিমতো নেতিবাচক ভবিমূর্তি নির্মাণে ব্যস্ত শ্রমিক ও জাতীয়তাবাদী অ্যাক্টিভিস্টদের মৌখিক প্রতিবাদের প্রতিক্রিয়াও ছিল এটা।
১৯৩৫ সালে ব্রিটিশ উৎপাদকেরা বৈশ্বিক চায়ের বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক চায়ের বাজার সম্প্রসারণ বোর্ড নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে। এদের 'চা আপনাকে উজ্জীবিত করে' প্রচারণাভিযান ১৯৫২ সাল অবধি চালু ছিল। এই ধারণার ভিত্তি ছিল: ভোক্তারা নিষ্ক্রিয়, ক্লান্তÍ এবং বিষণ্ন হওয়ায় তাদের আপ্যায়িত ও উজ্জীবিত করা দরকার। সর্বত্র এই প্রচারণা- চা শরীর উজ্জীবিত করে, মনকে প্রফুল্ল রাখে, এমন একটা সহজ একটা ধারণা ছড়িয়ে দেয়। ক্লান্ত কারখানা ও অফিসকর্মী, গৃহিণী এবং কৃষিশ্রমিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে প্রচারিত বিজ্ঞাপনে সমস্ত ভোক্তাই একাকার হয়ে যায়। খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন, পোস্টার, বিলবোর্ড, প্যামফ্ল্যাট, ব্রোশার, চলচ্চিত্র এবং রেডিও প্রচারণা ব্রিটেনবাসী, ইউরোপীয়, আমেরিকান, আফ্রিকান এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয়দের চা আধুুনিক পানীয় এবং এটা তাদের কাজে, খেলাধুলায়, ও ঘরে 'তরতাজা' এবং 'উজ্জীবিত' অনুভূতি জাগানোর কথা বলেছে। আধুনিক চাপময় দুনিয়ায় চা বিশ্বজনীন পথ্যে পরিণত হয়েছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি ভোক্তা ও পণ্যের একটি সর্বজনীন আদর্শের পক্ষে কথা বলে।
ভোক্তারা তাদের দেহ এবং রুচি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়ে উঠলেও ভৌগোলিক অবস্থান, উৎপাদন এবং রাজনীতির উপলব্ধি হারিয়ে ফেলেছেন। ভোক্তারা বিশেষ পণ্যটির প্রতি বিশ্বস্ত থেকে চা কোত্থেকে এল বা আরও গুরুত্বপূর্ণ অর্থে কীভাবে এটি উৎপাদিত হচ্ছে, সে প্রশ্ন তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ চায়ের বিজ্ঞাপনে একসময় ক্লান্তিহীনভাবে ঔপনিবেশিক শাসনের উন্নয়ন ও নৈতিক প্রভাবের কথা বলে হলেও বিশ শতকের মাঝামাঝি সাম্রাজ্যবাদী উৎসের কথা চেপে গিয়ে ভোক্তাদের পক্ষে সাম্রাজ্যবাদের রক্ষার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকার সমালোচনাও অসম্ভব করে তোলে।
কয়েক প্রজন্মব্যাপী প্রচলিত বিজ্ঞাপন, যুদ্ধকালীন রেশনিং প্রথা এবং বিভিন্ন বৃহৎ ব্র্যান্ডের বিকাশ ও সংহতকরণ থেকে ১৯৬০-এর দশকের দিকে মুষ্টিমেয় ব্রিটিশ ভোক্তার তর্ক সাপেক্ষে চা সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি ওয়াকিবহাল- চায়ের উৎপাদন বা সাম্রাজ্যবাদী ইতিহাস সম্পর্কে সামান্য অবহিত থাকারই ধারণা দেয়। ১৯৬৫ সালে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপনী সংস্থা অগিলভি অ্যান্ড ম্যাথারের চালানো এক জরিপের উপসংহার টানা হয় যে 'উত্তরদাতারা চায়ের উৎপাদন, ব্লেন্ডিং এবং মোড়কীকরণ সম্পর্কে খুবই অস্পষ্ট এবং বিভ্রান্তিকর ধারণা রাখেন।' অনেকে চীন, ভারত ও সিলোন থেকে এর আগমনের কথা জানলেও 'বেশির ভাগই চা কোত্থেকে এসেছে, জানেন না এবং বিষয়টিকে তেমন গুরুত্বপূর্ণও মনে করেন না।' বেশ কিছু উত্তরদাতা 'ভারত বা সিলোনের চায়ের' কথা আদৌ শোনেননি।
নিঃসন্দেহে চায়ের ইতিহাস অনন্য। তবে মন্দার প্রতি এই শিল্পটির সাড়া আকাঙ্ক্ষা এবং বিতৃষ্ণার মতোই ভোক্তার জ্ঞান ও অজ্ঞতার ইতিহাসের অস্তিত্বের কথা বোঝায়। ব্যাপারটা সংশয়াতীত মনে হতে পারে, কিন্তু প্রায়ই আমরা বৈশ্বিক প্রক্রিয়া এবং ঐতিহাসিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভোক্তাকে শেষ বিন্দু মনে করি। অবশ্য স্রেফ ভোক্তার ক্ষমতা উপলব্ধির চেয়ে আমাদের দরকার শক্তিশালী ও নিষ্ক্রিয় উভয় ভোক্তাকেই বৈশ্বিক অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক সংগ্রামের বিকাশে প্রোথিত ঐতিহাসিক ও সামাজিক উপাদান হিসেবে স্বীকার করা। নেতৃবৃন্দ ভোক্তার কোনটা জানা উচিত এবং কোনটা উচিত নয়, সে সম্পর্কে নিজেদের ধারণাকে প্রশ্ন করতে না পারলে ভোক্তা আন্দোলন অতি সীমিত সাফল্যই অর্জন করবে।