ছদ্মনাম
বাংলা সাহিত্যে ইবলিশ কে?
জার্মান সাহিত্যে মেফিস্টোফোলিস আছে, ফাউস্ট-এর শয়তান চরিত্র হিসেবে। কিন্তু বাংলা সাহিত্যে ইবলিস নামের একজন সাহিত্যিক হিসেবে একজন আছেন, তিনি কে?
বেশ ইবলিশ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে যদি মন না চায়, সত্য সুন্দর নিয়ে তো সমস্যা থাকার কথা নয়। তাহলে সত্য সুন্দর কে? সত্য পীরই বা কে?
জবাব নিন--ইবলিশ ছদ্মনামের প্রকৃত লেখক হচ্ছেন সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ। সত্য সুন্দর হচ্ছেন মেহিতলাল মজুমদার আর সত্য পীর হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন আরো একজন সৈয়দ - সৈয়দ মুজতবা আলী। সৈয়দ মুস্তফা সিরাজের মতো এমন সুজন নিজের জন্য বেছে নিলেন ইবলিশ নাম!
ষষ্টীচরণ দেবশর্মা কে, কেউ চেনেন তাকে?
ঠাকুরকে না চেনার কারণ নেই, দ্বারকানাথের দৌহিত্র শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
এই নিবন্ধটিতে বাংলা সাহিত্যের ছদ্মনামা লেখকদের কারো কারো এক বাক্যের কিঞ্চিত পরিচিতি এবং অসম্পূর্ণ একটি তালিকা উপস্থাপন করা হচ্ছে। যদি আপনার প্রিয় ছদ্মনামা লিখিয়ে বাদ পড়ে থাকেন দয়া করে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নেবেন। সাইবার সূত্র এবং কাগুজে সূত্রে পাওয়া বেশ কটি তালিকা থেকে নামগুলো নেওয়া হয়েছে, তালিকা প্রণেতাগণ অবশ্যই কৃতজ্ঞতা সূত্রে আবদ্ধ করলেন, কারণ আমি নেমক হালাল লেখক।
সত্তরের দশক ঢাকার একটি পত্রিকাতেই নেমক হালাল নামের একজন লেখক উকি দিয়েছিলেন, তারপর তাকে আর খুঁজে পাইনি, আশ্বস্ত করতে পারি সে লেখক আমি নই। তার প্রকৃত নাম কি তাও জানা হয়নি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম কি এটা অবশ্যই একটি উত্তর দেবার মতো প্রশ্ন। কিন্তু যে প্রশ্নটি ভাবাচ্যাকা খাইয়ে দেবে তা হচ্ছে: মানিক বন্দোপাধ্যায়ের ছদ্ম নাম কি? মানিক বন্দোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যে একজনই। এটা এতোই সুপ্রতিষ্ঠিত নাম যে এই নামকে ছদ্মনাম ভাবাই যায় না। তার নাম প্রবোধ বন্দোপাধ্যায়।
ভারতীয় একটি সাময়িকীতে 'মান্ধাতার বাবার আমল' নিয়ে একজন লিখতেন। লেখকের নাম যুবনাশ্ব। এটা যে ছদ্মনাম তা নিয়ে আমি এতোটুকুও সন্দিহান ছিলাম না। কিন্তু কাগজপত্র উল্টে দেখি তিনি সত্যি-সত্যি মান্ধাতার বাবা। তবে এই মানুষটি ভিন্নজন, নাম মনীষ ঘটক, জন্ম এপার বাংলাতেই, পটল ডাঙ্গার পাঁচালি নামের গল্পের বই আছে, বেশ কটা কবিতার বই আর 'মান্ধাতার বাবার আমল' হচ্ছে তারই আত্মজীবনী। তার সাথে এপার বাংলার পরিচিতি একটু কম হলে কি হবে যুবনাশ্বের ছোট ভাই ঋত্বিক ঘটককে চেনেন না, জানেন না এমন শিল্পবোদ্ধার ঘাটতি আছে? যুবনাশ্বের কন্যার পরিচিতিও কম নয়, নোবেল সাহিত্য পুরস্কারের জন্য কোনো সুহৃদ তার নাম করে থাকতে পারেন, বছর কয়েক আগে পুরস্কার জুয়াড়িদের দীর্ঘ তালিকায় তার নামও ছিল--ঢাকার মেয়ে মহাশ্বেতা দেবী। হাজার চুরাশির মা উপন্যাসের লেখক।
মৈনাক ছিলেন আমাদের অন্যতম কবিদের একজন শামসুর রাহমান। রামায়নের দেবী পার্বতী ভাই, শিবের শ্যালক কার্যত মৈনাক পর্বত। মৈনাক পর্বতের এক সময় ডানা ছিল। ইন্দ্র যখন মৈনাকের ৯৯ ভাইয়ের ডানা কেটে দিল, মৈনাক বায়ুর সাহায্য প্রার্থনা করলে বায়ু তাকে সমুদ্রে ডুবিয়ে রেখে দিল যাতে সমুদ্রতল থেকে দানবেরা উঠে আসতে না পারে--মগ্ন মৈনাকের গুরুত্ব অপরিসীম।
বস্তুতান্ত্রিক চূড়ামনি কি নাম হতে পারে, কিংবা ছদ্মনাম? হয়েছে, বাংলা ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের এটাই ছদ্মনাম। তাহলে স্ফুলিঙ্গ সমাদ্দার কে? কেউ কেউ নিশ্চয়ই জানেন এই সমাদ্দারই অবনী, বাড়ি আছো-র কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়।
বাংলা সাহিত্যে মেঠোভূত কে আর গ্যাড়া ভূত কে? মেঠোভূতের বহু ছদ্মনাম, প্রকৃত নাম সজনীকান্ত দাস আর গ্যাড়াভূতের ছদ্মনাম একটিই, লেখক হিসেবেও তিনি তেমন পরিচিত নন, জগবন্ধু ভদ্র।
বিশ্বকর্মা হচ্ছেন হিন্দু ধর্মের ঈশ্বর, মহান স্থপতি কৃষ্ণশাসিত নগরী দ্বারকা নগরী তারই সৃষ্টি, স্থাপত্য বেদের মহান ছুতারও তিনি। হিন্দু পঞ্জিকার কন্যা সংক্রান্তির সময় বিশ্বকর্মার পূজা হয়। বাংলা সাহিত্যে বিশ্বকর্মা হিসেবে সেই পূজনীয় স্থানটি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত দখল করে নিয়েছেন।
উদাসীন পথিক ছদ্মনামের বাঙ্গালি মুসলমান কথাসাহিত্যিক মোটেও উদাসীন ছিলেন না, সেই মীর মশাররফ হোসেনের বিষাদ সিন্ধু পড়ে বহু পাঠক অশ্রুসিক্ত হয়েছেন। বাংলা সাহিত্যে ফকির ছদ্ম নাম নিয়েও একজন বিশিষ্ট কবি লিখেছেন, তিনি সুভাষ মুখোপাধ্যায়। গজমূর্খও ছিলেন একজন--গৌরকিশোর ঘোষ।
উদ্ভট নাম দিয়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, এমনিতেই বইয়ে নাম ছাপা হলো শ্রী ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা। একটি কি দুটিতে লেখকের নাম ছাপা হয়েছে: কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য, কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপো সহচরস্য।
কমলাকান্ত যে বঙ্কিমচন্দ্র এটা অনেকেরই জানা, কিন্তু এটা অনেকেরই অজানা যে ভীষ্মদেব খোসনবিশ এবং দর্পনারায়ণ পতিভূন্ড একই ব্যক্তি--সেই বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। শ্রী শ্রীকেষ্ট চট্টোপাধ্যায়ও যে একই ব্যক্তি এ নিয়ে সন্দেহ বাতিকগ্রস্থ হয়ে লাভ নেই। এবং হরিদাস বৈরাগীও তিনিই।
একইভাবে কেউ বলে না দিলে বোঝা সম্ভব নয় যে দিকশূণ্য ভট্টাচার্য এবং অকপটচন্দ্র ভাস্কর একই ব্যক্তি, ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথের নামে আসা নোবেল পুরস্কারে তাদের ভাগ মোটেই কম নয়। রবীন্দ্রনাথ অনেক নামে লিখেছেন। কিন্তু ছদ্মনামা লেখকের নাম যদি হয় বঙ্গের রঙ্গদর্শক এটা বোঝার কি কোনো উপায় আছে যে, তিনিও রবীন্দ্রনাথের মতোই মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র?
এমনিতে লেখক হিসেবে যথেষ্ট প্রশংসিত হবার পরও তিনি পঞ্চমুখ ছদ্মনাম নিলেন, তার প্রকৃত নাম শক্তিপদ রাজগুরু। কেবল স্ফূলিঙ্গ সমাদ্দার ছদ্মনামটিকে যথেষ্ট মনে করলেন না কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তিনি নাম নিলেন অভিনব গুপ্ত। সমুদ্র গুপ্ত বাংলাদেশের একজন কবি, ২০০৮ সালে ক্যান্সারে প্রয়াত। কবির আবার ধর্ম কি তবুও সমুদ্র গুপ্তকে যারা হিন্দু মনে করতেন, তারা তাকে তেমন হিন্দু ধর্মাচারে দেখেননি। আসলে এটা ছিল তার ছদ্মনাম--প্রকৃত পক্ষে তিনি সিরাজগঞ্জের আবদুল মান্নান, কবি যশপ্রার্থী হয়ে সে সমুদ্র গুপ্ত হলেন--তা-ই স্থায়ী নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলো।
বাংলাদেশের সমুদ্র গুপ্তকে তো চিনলেন, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র গুপ্ত কে? তিনি কবি ও চিত্রশিল্পী পূর্ণেন্দু পত্রী।
যীশু দাশগুপ্ত তো অনেকটা বাংলাদেশের লেখকই হয়ে গেছেন--এখানকার দৈনিকেও মাঝে মধ্যে লিখছেন। কিন্তু তাকে তো কেউ কখনও দেখেনি। জবাব হতে পারে যীশু দাসগুপ্ত নামের পশ্চিমের লেখককে আসলেই বাংলাদেশে কেউ দেখেনি--না দেখারই কথা, সবাই তাকে বাপদাদার দেওয়া নামেই চেনে, তার নাম সমরেশ মজুমদার।
নাম যদি হয় প্রসাদ কিংবা শিবপ্রসাদ ব্যক্তিত্বের পার্থক্যটাও বেড়ে যায় : প্রসাদ রায় হলেন হেমেন্দ্র কুমার রায় আর শিবপ্রসাদ দাস হলেন রাজা রামমোহন রায়।
নেটিভ নামের এ লেখক যে ইংরেজঘেঁষা বাঙ্গালি হবেন--তা আঁচ করা যায়, তিনি মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
কিন্তু 'জনৈক বঙ্গমহিলা' যদি কারো নাম বা পরিচয় হয়, তাহলে বোঝার কোনো উপায় আছে যে তিনি বাংলাদেশের পাবনার কামিনী রায়?
মহাকবি কৃত্তিবাস ওঝাই বাঙ্গালি পাঠকের জন্য বাল্মিকীর রামায়ন তুলে দেন। কিন্তু তিনি তো বিদায় নিয়েছেন ১৪৬১ সালে, নদিয়াতে তার সমাধি রয়েছে। কিন্তু ১৮৮৮ সালে জন্ম নেয়া আরেক কবি কৃত্তিবাস ওঝার নাম ভাঙ্গিয়ে লিখতে শুরু করলেন। তার আসল নাম মোহিতলাল মজুমদার। আরো ১৬ বছর পর ১৯০৪ জন্ম নেয়া প্রেমেন্দ্র মিত্রও কৃত্তিবাস নামের উপর চড়াও হলেন, তবে তিনি ওঝা নন, কৃত্তিবাস ভদ্র।
ফা-হিয়েন শুনলে চীনদেশীয় পর্যটকের কথাই মনে পড়ার কথা, কিন্তু ফাহিয়েন নামে লিখেছেন গৌরকিশোর ঘোষ। আর ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত লিখলেন ভ্রমণকারী বন্ধু নাম নিয়ে। যে সব ছদ্মনামের সাথে আমাদের পরিচিতি বেশি সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বনফুল, যাযাবর, জরাসন্ধ, নীললোহিত, বীরবল, শংকর, পরশুরাম, কালকূট, অবধূত, ভানুসিংহ। আপাতত: এই দশটি নামের মধ্যে পাঁচজনের প্রকৃত নামও যদি কেউ বলতে পারেন তাহলেই পরীক্ষায় পাস ধরে নিতে হবে। তবুও উত্তর মিলিযে নেবার জন্য প্রকৃত নাম ছদ্মনামের পাশাপাশি উল্লেখ করছি।
বনফুল- বলাইচাদ মুখোপাধ্যায়
যাযাবর- বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়
জরাসন্ধ- চারুচন্দ্র চক্রবর্তী
নীললোহিত- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
বীরবল- প্রমথনাথ চৌধুরী
শংকর- মনিশংকর মুখোপাধ্যায়
পরশুরাম- রাজশেখর বসু
কালকূট- সমরেশ বসু
অবধূত- কালিকানন্দ মুখোপাধ্যায়
ভানুসিংহ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মানিক বন্দোপাধ্যায় বা শওকত ওসমান আসলে কে জিজ্ঞেস করার মানে হয় না কারণ নাম হিসেবে এ দুটো এতই সুপ্রতিষ্ঠিত যে আদি নাম খুঁজে বের করা কিছুকাল পর গবেষণাধর্মী কাজ হয়ে দাঁড়াবে।
তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়কে কি কারো হাবা বা হাবু বলতে ইচ্ছে করবে? অথচ তিনি সেধেই হাবু শর্মা ছদ্মনাম নিয়েছিলেন।
দাদা ভাই বাংলাদেশের একজন রোকনুজ্জামান খান, পশ্চিমবঙ্গেও একজন আছেন- নীহারঞ্জন গুপ্ত। চোখ, কান এবং অন্তর যথেষ্ট খোলা থাকার পরও দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার নাম নিয়েছিলেন 'দৃষ্টিহীন'। আবার পিতৃপদবীর খানিকটা ছেটে পিতৃদত্ত নাম বদলে হয়েছিলেন মধুসূদন মজুমদার। কিন্তু সে সব নাম প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। বাংলার মানুষ দক্ষিণারঞ্জনই জানে। বাঙ্গালি লেখকের ছদামনামের কিছু উদাহরণ:
বিমূর্ত নাম যখন ছদ্মনাম
ছদ্মনাম প্রকৃত নাম
কালকূট- সমরেশ বসু
ভ্রমর- সমরেশ বসু
কালপুরুষ- সুবোধ ঘোষ
সুপান্থ- সুবোধ ঘোষ
সনাতন পাঠক- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
নীল উপাধ্যায়- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
বিরুপাক্ষ- বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র
বৈবাহিক- বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র
বিষ্ণু শর্মা- প্রমথনাথ বিশী
হাতুড়ি- প্রমথনাথ বিশী
প্রণাবি প্রমথনাথ বিশী
বনফুল- বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
লীলাবান- বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
সুবচনী- সুভাষ মুখোপাধ্যায়
ঢোলগোবিন্দ- সুভাষ মুখোপাধ্যায়
সত্যপীর - সৈয়দ মুজতবা আলী
প্রিয়দর্শী- সৈয়দ মুজতবা আলী
মুসাফির- সৈয়দ মুজতবা আলী
হুতোম প্যাচা - কালীপ্রসন্ন সিংহ
অবধূত- কালিকানন্দ মুখোপাধ্যায়
জরাসন্ধ- চারুচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়
বীরবল- প্রমথ চৌধুরী
যাযাবর- বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়
ক্বচিৎ প্রৌঢ়- বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়
মৌমাছি- বিমল ঘোষ
জাবালি- বিমল মিত্র
শংকর- মনিশঙ্কর মুখোপাধ্যায়
যুবনাশ্ব- মনীশ ঘটক
সুনন্দ- নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়
ভোরের পাখি- বিহারীলাল চক্রবর্তী
পরশুরাম- রাজশেখর বসু
চিত্রগুপ্ত- সতীনাথ ভাদুড়ী
কাকাবাবু- প্রভাত কিরণ বসু
কমলাকান্ত- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
নিরপেক্ষ- অমিতাভ চৌধুরী
মহাস্থবির- প্রেমাঙ্কুর আতর্থী
ভীষ্মদেব- দেবব্রত মল্লিক
বেদুইন- দেবেশ রায়
স্বপন বুড়ো- অখিল নিয়োগী
কালপেচাঁ- বিনয় ঘোষ
কালপেঁচা- আবদুল গণি হাজারী
ভানভট্ট- নীহাররঞ্জন গুপ্ত
রূপদর্শী- গৌরকিশোর ঘোষ
বিকর্ণ- নারায়ণ স্যান্যাল
ত্রিলোচন বাচষ্পতি- আনন্দ বাগচী
পঞ্চানন- ইন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়
দৃষ্টিহীন- মধুসুদন মজুমদার
শ্রীকান্ত - নিখিল সরকার
ভাস্কর- জ্যোতির্ময় ঘোষ
প্রবুদ্ধ- প্রবোধ চন্দ্র বসু
শ্রীভট্ট- দীনেশ গঙ্গোপাধ্যায়
সত্য সুন্দর- মোহিতলাল মজুমদার
উদয় ভানু- প্রাণতোষ ঘটক
শ্রীনিরপেক্ষ- নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
রসিক মল্লা- হেমচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়
নবকুমার- সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
উত্তম পুরুষ- সন্তোষ কুমার ঘোষ
ইন্দ্রনীল- সন্তোষ কুমার ঘোষ
ব্যাঙাচি- কাজী নজরুল ইসলাম
কীর্তনীয়া- প্রবোধকুমার স্যানাল
গুপ্ত কবি ঈশ^রচন্দ্র গুপ্ত
সব্যসাচী- নীরদচন্দ্র মজুমদার
নতুন দা- হরেন ঘটক
বহুরূপী- শৈলেশ দে
অভয়ঙ্কর- ভবানী মুখোপাধ্যায়
শুভঙ্কর- ভৃগুরাম দাস
কুন্তক শঙ্ক ঘোষ
প্রবাসী- গোবিন্দ্র চন্দ্র রায়
দৌবারিক- নিথিল সরকার
হর্ষবর্ধন- আনন্দ বাগচী
মুসাফির- প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
শ্রী- জীবনানন্দ দাশ
বিদুর- বিমল কর
শ্রী বৎস- বিনয় ঘোষ
শ্রীভট্ট- দীনেশ গঙ্গোপাধ্যায়
নব কমলাকান্ত- প্রমথনাথ বিশী
সহযাত্রী- বিজন ভট্টাচার্য
দুর্মুখ- কিরণ মৈত্র
অজাতশত্রু- অমলেন্দু চক্রবর্তী
ভাড়দত্ত- অমৃত লাল বসু
ইবলিশ- সৈয়দ মুষÍফা সিরাজ
কালকেতু- মতি নন্দী
কলহন - কালিদাস নাগ
বানভট্ট- নীহাররঞ্জন গুপ্ত
চন্দ্রহাস- শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়
জোনাকি- জয়দেব কর্মকার
পঞ্চানন- ইন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়
গ্রন্থকীট- তারাপদ রায়
বলরাম- শ্যামল মুখোপাধ্যায়
পথিক- নরেশ চন্দ্র জানা
বস্তুতান্ত্রিক চূড়ামনি- সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
গ্যাড়াভূত- জগবন্ধু ভদ্র
বেতাল ভট্ট- অমূল্যধন মুখোপাধ্যায়
সনাতন পাঠক- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মেঠোভূত- সজনীকান্ত দাস
বিশ্বকর্মা- সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
গজমূর্খ- গৌরকিশোর ঘোষ
নানাপেটা হাদারাম- বিহারীলাল চট্টোপাধ্যায়
এ নেটিভ- মাইকেল মধূসূদন দত্ত
জনৈক বঙ্গমহিলা- কামিনী রায়
দর্পনারায়ন পতিভূন্ড- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
আবোল তাবোল সেন- সজনী কান্ত দাস
বিজ্ঞান ভিক্ষু - ললিত মুখোপাধ্যায়
অ কৃ ব- অজিত কৃষ্ণ বসু
পঞ্চমুখ - শক্তিপদ রাজগুরু
শীলভদ্র- হিমানীশ গোস্বামী
শুভঙ্কর- ভৃগুরাম দাস
গগণ হরকরা- ভবানী মুখোপাধ্যায়
বানভট্ট- নীহাররঞ্জন গুপ্ত
শ্রী ম- মহেন্দ্র গুপ্ত
দৃষ্টিহীন- দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার
পুরুষ নাম যখন পুরুষের ছদ্মনাম
ছদ্মনাম প্রকৃত নাম
ওমর খৈয়াম- সৈয়দ মুজতবা আলী
প্রফুল্ল হালদার গোপাল হালদার
নবীন কিশোর শর্মন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মধুসূদন মজুমদার দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার
মুকুটাচরণ মিত্র গিরিশচন্দ্র
শ্রী সঞ্জীব শম্ভূ মিত্র
অশিতীপর শর্মা সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
কল্যান শঙ্কু তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়
আকাশ সেন অদ্রীশ বর্ধন
হুতাশ হালদার সজনীকান্ত দাস
বেচারাম মাইতি সজনীকান্ত দাস
দোদুল দে সজনীকান্ত দাস
নক্ষত্র রায় তারাপদ রায়
পীরু ডমরু ধর রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়
চানক্য সেন ভবানী সেনগুপ্ত
শঙ্কু মহারাজ জ্যোতির্ময় ঘোষ গস্তিদার
রসুন আলী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ধনঞ্জয় বৈরাগী তরুণ রায়
তুজম্বর আলী জসীমউদ্দীন
সমুদ্র গুপ্ত গুণেন্দু পত্রী
সমুদ্র গুপ্ত আবদুল মান্নান
গগন হরকরা ভবানী মুখোপাধ্যায়
সার্থক চক্রবর্তী পূর্ণেন্দু চক্রবর্তী
পুরন্দর ভাট নবারুন ভট্টাচার্য
খ্যাতিপ্রকাশ চট্টোপাধ্যায় কেষ্ট চট্টোপাধ্যায়
প্রফুল্ল হালদার গোপাল হালদার
কাফি খা প্রফুল্ল চন্দ্র লাহিড়ী
নবকুমার কবিরতœ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
প্রসাদ রায় হেমেন্দ্র কুমার রায়
শিব প্রসাদ দাস রাজা রামমোহন রায়
ভানু সিংহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শওকত ওসমান শেখ আজিজুর রহমান
সমীরণ সিংহ তপোবিজয় ঘোষ
টেকচাদ ঠাকুর প্যারিচাদ মিত্র
দীপক চৌধুরী নিহার ঘোষাল
ইন্দ্রনাথ মিত্র অরবিন্দ গুহ
ইন্দ্রকুমার সোম সোমেন চন্দ
কায়কোবাদ কাজেম আল কোরেশী
কৃতিবাস ভদ্র প্রেমেন্দ্র মিত্র
কৃত্তিবাস ওঝা মোহিতলাল মজুমদার
জহির রায়হান মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ
গাজী মিয়া মীর মশাররফ হোসেন
কাঙাল হরিনাথ হরিনাথ মজুমদার
সেলিম আল দীন মইনুদ্দিন আহমেদ
আবুল হাসান আবুল হোসেন মিয়া
হাসন রাজা অহিদুর রেজা
শিবপ্রসাদ দাস রাজা রামমোহন রায়
রামচন্দ্র দাস রাজা রামমোহন রায়
আশকার ইবনে শাইখ এম ওবায়দুল্লাহ
শহীদুল্লাহ কায়সার এ এস এম শহীদুল্লাহ
বাঙ্গালি নারী নামের মানুষটি যখন পুরুষ :
ছদ্মনাম প্রকৃত নাম
নীহারিকা দেবী অচিন্তকুমার সেন গুপ্ত
নীলাময় রায় অন্নদাশংকর রায়
অনিলা দেবী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
অনুরামা দেবী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
সুবচনী সুভাষ মুখোপাধ্যায়
অমিয়া দেবী অমৃতলাল বন্দোপাধ্যায়
শ্রীমতি কনিষ্ঠা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শ্রীমতি মধ্যমা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আন্নাকালী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কেয়া মিত্র অদ্রীশ বর্ধন
নারী নাম যখন নারীর ছদ্মনাম
ছদ্মনাম প্রকৃত নাম
অনুপমা দেবী অনুরূপা দেবী
সুমিত্রা দেবী মহাশে^তা দেবী
অপরাজিতা দেবী রাধারানী দেবী
পাদটীকা : ছদ্মনাম নিয়ে পড়াশোনা খানিকটা বেড়েছে। এতে বিশ^সাহিত্যে কিছু যোগ হচ্ছে কিনা বলা মুশকিল। আজকাল বাংলাদেশের বিসিএস পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে যেমন ভানু সিংহ কার ছদ্মনাম? সুতরাং ছদ্মনাম মুখস্ত করার হিড়িক পড়ে গেছে।