অধ্যাপক মোজাফফরের কফিনে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অন্যতম প্রথিতযশা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ (মোজাফফর) সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের কফিনে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শনিবার সকালে অধ্যাপক মোজাফফরের জাতীয় পতাকা-মোড়ানো কফিনে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন তিনি।
দেশবরেণ্য এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর তাঁর স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে দলের জ্যেষ্ঠ নেতা-কর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে তিনি তাঁর কফিনে পৃথক আরেকটি পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এবং জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ড.আবদুস সোবহান গোলাপসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী এই বর্ষীয়ান রাজনীতিকের কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের পক্ষ থেকেও তাঁর কফিনে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদসবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ মোনাজাতে শরীক হন।
সকাল ১১টায় এখানেই ন্যাপ সভাপতির প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রায় পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে ন্যাপ সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশকে নেতৃত্বদানকারী মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। শুক্রবার রাত ৮টায় রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।
এর আগে, শুক্রবার রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক এবং প্রগতিশীল আন্দোলনে এই প্রবীণ রাজনৈতিক নেতার অবদানের কথা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “দীর্ঘ জীবনে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের অবদান মানুষ চিরদিন মনে রাখবে। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন প্রবীণ রাজনীতিককে হারাল। এতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।”
রাষ্ট্রপতি হামিদ প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতিও গভীর সমবেদনা জানান।
তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদও অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের প্রয়াণে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় তিনি দেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনে অধ্যাপক আহমদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।