অলিম্পিকের মশাল হাতে হাঁটবেন ১১৮ বছর বয়সী যে নারী
১১৮ বছর বয়সে বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তি হিসেবে কেন তানাকা প্রস্তুতি নিচ্ছেন মে মাসে আসন্ন জাপান অলিম্পিকের মশাল বহন করার।
১১৮ বছর বয়সী কেন তানাকা দুইবার ক্যান্সার থেকে বেঁচে ফিরেছেন, দুটি বৈশ্বিক মহামারীর অভিজ্ঞতাও আছে তার।
মশালটি তার নিজ জেলা ফুকুওকায় শিমে দিয়ে যাওয়ার পথে অলিম্পিকের শিখা গ্রহণ করবেন কেন তানাকা ।
যদিও মশাল বহনের সময় তানাকার পরিবার তাকে ১০০ মিটার (প্রায় ৩২৮ ফুট) বা বেশীরভাগ পথই হুইলচেয়ারে করে নেবে, তবে ১১০ বছরের বেশী বয়সী কেন তানাকা-কে একেবারেই যে হাঁটতে হবে না তা নয়। পরবর্তী বাহকের কাছে পৌঁছানর লক্ষ্যে কয়েক ধাপ হেঁটে মশালটি বাহকের হাতে তুলে দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কেন তানাকা।
মশাল বাহনের জন্য জানুয়ারিতে তার জন্মদিনে পরিবারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে নতুন এক জোড়া স্নিকার (জুতো) উপহার পেয়েছে তানাকা।
তার ৬০ বছর বয়সী নাতি ইজি তানাকা বলেন, "এটা খুবই ভালো যে তিনি এই বয়সে পৌঁছেছেন এবং তিনি এখনো একটি সক্রিয় জীবনযাত্রা বজায় রাখতে পারেন- আমরা চাই অন্যরা তাখুক দেখুক এবং অনুপ্রাণিত হোক, বয়সকে একটি বাধা মনে না করুক।"
এর পূর্বে প্রবীণতম অলিম্পিক মশাল বাহকদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাজিলের আইদা গেমানক, ১০৬ বছর বয়সে যিনি ২০১৬ রিও গ্রীষ্মকালীন গেমসে মশাল জ্বালিয়েছিলেন, এবং টেবিল টেনিস খেলোয়াড় আলেকজান্ডার কাপ্তারেঙ্কো, যিনি ১০১ বছর বয়সে ২০১৪ সালের সোচি শীতকালীন গেমসে মশাল নিয়ে দৌড়েছিলেন।
তানাকার জন্ম ১৯০৩ সালে, ১৯ বছর বয়সে তিনি একজন চাল দোকানীর সাথে সংসারে অবদ্ধ হন, ১০৩ বছর বয়স পর্যন্ত সেই চালের দোকানেই কাজ করেছেন তিনি। তার ৪ জন সন্তান, ৫ জন নাতী-নাতনী এবং তার নাতী-নাতিনিদেরও ৮ জন সন্তান রয়েছে।
তিনি দুটি বিশ্বযুদ্ধ এবং ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লুর ভেতরও বাস করেছেন, যদিও তার নাতি ইজি বলেন, "অতীত নিয়ে সে যে খুব একটা কথা বলেছে এমনটা মনে করতে পারছি না... সে সামনের জীবন নিয়ে চিন্তা করেছে- সে সত্যিই বর্তমানকে যাপন করা উপভোগ করে।"
কেন তানাকার বয়স প্রায় ১৮৯৬ সালে শুরু হওয়া আধুনিক অলিম্পিক গেমসের সমান ১৯৬৪ সালে টোকিওতে শেষবার যখন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয়, তখন তানাকার বয়স ছিল ৬১ বছর। যদি গ্রীষ্ম এবং শীতকালীন উভয় সংস্করণের অলিম্পিকের গণনা করা হয়, তবে এই বছরের অলিম্পিক তানাকার জীবনের ৪৯ তম অলিম্পিক হবে।
সূত্র: সিএনএন