আরেকটি হার, টি-টোয়েন্টি সিরিজও কিউইদের
বল হাতে দারুণ শুরুর পরও নিউজিল্যান্ডকে অল্প রানে বাঁধা যায়নি। গ্লেন ফিলিপস ও ড্যারিল মিচেল দলকে রান পাহাড়েই নিয়ে যান। বৃষ্টির হানায় চার ওভার কমে আসে ম্যাচের দৈর্ঘ্য। শুরুটা ভালো না হলেও খুনে ব্যাটিংয়ে আশা জাগান সৌম্য সরকার। কিন্তু এই বাঁহাতি ফেরার পর আর আশা টেকেনি। আরও একটি হারের স্বাদ নিতে হলো বাংলাদেশকে।
মঙ্গলবার নেপিয়ারে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে ২৮ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। এই হারে এক ম্যাচ আগেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিলো স্বাগতিকরা। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি পরিণত হলো নিয়ম রক্ষার ম্যাচে।
নেপিয়ারে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা নিউজিল্যান্ড ১৭.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান তোলার পর বৃষ্টি শুরু হয়। ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭১ রান। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে সৌম্য সরকারের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরির পরও ৭ উইকেটে ১৪২ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ১৩ রানেই ওপেনার লিটন দাসকে হারায় বাংলাদেশ। এই চাপ দ্রুতই কাটিয়ে তোলেন নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকার। নাঈম দেখেশুনে খেললেও সৌম্য দাপুটে ব্যাটিং করতে থাকেন। ২৫ বলেই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। এই ফরম্যাটে এটাই তার দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি।
নাঈম ও সৌম্য মিলে ৮১ রানের জুটি গড়ে তোলেন। এই জুটিতে জয়ের স্বপ্নই দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ২৭ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫১ রান করে সৌম্য আউট হওয়ার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। ৩৫ বলে ৪টি চারে ৩৮ রান করে আউট হন নাঈমও। এরপর আর কেউই দলকে পথ দেখাতে পারেননি।
নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদি, হামিশ বেনেট ও অ্যাডাম মিলেনে ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা গ্লেন ফিলিপস পান একটি উইকেট।
এরআগে ব্যাটিং করা নিউজিল্যান্ডকে আরও কম রাধে আটকানো যেত। কিন্তু ক্যাচ ও ফিল্ডিং মিসে তা হয়নি। ব্যাটিংয়ে নেমেই বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও ফিন অ্যালেন। ৪ ওভারেই স্কোরকার্ডে ৩৬ রান যোগ করেন তারা। এরপর অবশ্য কিউইদের রানচাকায় লাগাম টানেন বাংলাদেশের বোলাররা। দ্রুত তিনটি উইকেটও তুলে নেন তাসকিন, সাইফউদ্দিন শরিফুলরা।
১৯ রানের ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডের তিনটি উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। ১৭ রান করা ফিন অ্যালেনকে ফিরিয়ে শুরুটা করে দেন পুরো সফরে দারুণ বোলিং করে আসা তাসকিন। আরেক ওপেনার গাপটিল ২১ রান করে সাইফউদ্দিনের শিকারে পরিণত হন। তেড়েফুঁড়ে শুরু করা ডেভন কনওয়েকে ফেরান শরিফুল। ৯ বলে ১৫ রান করে বিদায় নেন তিনি।
ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি উইল ইয়ং। ১৭ বলে ১৪ রান করে মাহেদীর বলে আউট হন তিনি। এরপর কিউইদের রানচাকা ঘুরিয়ে গেছেন গ্লেন ফিলিপস। শেষের দিকে তার সঙ্গে যোগ দেন ড্যারিল মিচেল।
মাত্র ২৭ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করা ফিলিপস ৫৮ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেন। ৩১ বলের অপরাজিত ইনিংসটি ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ড্যারিল মিচেল ১৬ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। মাহেদী হাসান ২টি উইকেট নেন। এ ছাড়া তাসকিন, সাইফউদ্দিন ও শরিফুল একটি উইকেট পান।