ইমরুলরা সবাই ‘সিরিয়াস’
শ্রীলঙ্কা সফরকে সামনে রেখে গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় জাতীয় ক্রিকেট দলের অনুশীলন। জৈব সুরক্ষা বলয়ে সাতদিনের অনুশীলনের পর চারদিনের বিশ্রাম মেলে ক্রিকেটারদের। শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত হয়ে গেলেও থামেনি অনুশীলন। স্কিল ক্যাম্প আবারও শুরু হয় গত ১ অক্টোবর।
এবার যুক্ত করা হয়েছে প্রস্তুতি ম্যাচ। ইতোমধ্যে একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে, আরেকটি চলছে। ক্রিকেটারদের সব মনোযোগ এখন ম্যাচেই। পুরনো ছন্দে ফিরতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন সবাই। শ্রীলঙ্কা সফর বাতিল হয়ে গেলেও মনোযোগে কমতি নেই কারও। ইমরুল কায়েসের ভাষায় দলের সবাই 'সিরিয়াস'।
দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথমদিন ব্যাট হাতে রানের দেখা পেয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ওটিস গিবসন একাদশের হয়ে খেলা ইমরুলের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৯ রান। দিনের খেলা শেষে ইমরুল বলেন, 'সাধারণত এ রকম একটা বিরতির পরে সব খেলোয়াড়ই প্রথম দুই-একটা ম্যাচে একটু ক্যাজুয়াল বা নার্ভাস থাকে ব্যাটিং-বোলিংয়ে। কিন্তু আমার মনে হয় সবাই নিজের কাজটা ঠিকমতো করেছে বিরতিতে। যে জন্য সমস্যা হয়নি।'
'বোলিংয়ের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটা বোলার শতভাগ চেষ্টা করেছে। ছন্দ দেখে মনেই হয়নি যে তারা ক্রিকেটের বাইরে ছিল। পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে প্রতিটা খেলোয়াড় সিরিয়াস হয়েছে। যেটা আমদের ক্রিকেটের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। ব্যাটসম্যানরাও চেষ্টা করেছে উইকেটে থেকে রান করার। সহজে রান করতে পারেনি, বোলাররা সহজে রান করতে দেয়নি। কষ্ট করেই রান করতে হয়েছে।' যোগ করেন ইমরুল।
দ্বিতীয় ম্যাচে মানিয়ে নিলেও শুরুর ম্যাচে সমস্যা হচ্ছিল বলে জানান ইমরুল। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান বলেন, 'প্রথমে একটা ম্যাচ খেলেছি অনেকদিন পরে। সেখানে আসলে মানিয়ে নিতে একটু সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু তারপরও অনেক ভালো খেলেছে সবাই। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব একটা ভালো খেলতে পারিনি। এই ম্যাচে অনেক ফোকাস ছিল, পরিকল্পনা অনুযায়ী সব ঠিক ছিল।'
দুই দিনের ম্যাচ দুটি খুব কাজে আসছে জানিয়ে ইমরুল আরও বলেন, 'ব্যাটিং যেভাবে করতে চেয়েছিলাম, সেভাবেই করতে পেরেছি। এই দুটি ম্যাচ আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অনেকদিন না খেলতে পারলে পরিকল্পনা বলেন বা যাই বলেন, সব কিছু একটু ওলট-পালট হয়ে যায়। এ রকম সুযোগ পেয়ে সব ব্যাটসম্যানরাই কাজে লাগিয়েছে।'
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ সময় ঘরবন্দি থাকতে হয়েছে সবাইকে। বাসায় বসে থাকাটা খুব কষ্টের বলে জানান ইমরুল, 'অনেকদিন পর খেলা শুরু হয়েছে, এটা আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় স্বস্তির বিষয়। খেলোয়াড় হিসেবে বাসায় বসে থাকাটা সবচেয়ে কষ্টের বিষয়। আমরা মাঠে এসে খেলতে পারছি এবং সামনে আরও কিছু টুর্নামেন্ট আমাদের জন্য হচ্ছে। যেগুলো আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'