দীর্ঘ অপেক্ষা ফুরিয়ে সেমিতে ডেনমার্ক
এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতাই হয়েছিলো ডেনমার্কের। জ্ঞান হারিয়ে মাঠেই মুখ থুবড়ে পড়ে গিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। দলের অন্যতম সেরা ফুটবলার সুস্থ হয়ে উঠলেও আর মাঠে নামা হয়নি। এরিকসেনকে দল থেকে হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করেই যেন দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে ডেনমার্ক।
শেষ আটের বাধাও টপকে গেছে তারা। সেমি-ফাইনালে উঠে গেছে ডেনমার্ক। শনিবার রাতে আজারবাইজানের বাকু অলিম্পিক স্টেডিয়ামে তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে চেক প্রজাতন্ত্রকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ডেনিশরা। ডেনমার্কের পক্ষে গোল করেন থমাস ডিলানে ও কাসপার্গ ডলবার্গ। চেক প্রজাতন্ত্রের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন প্যাত্রিক শিক।
এই জয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হলো ডেনমার্কের। ২৯ বছর পর ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি-ফাইনালে উঠলো তারা। ১৯৯২ সালে শিরোপা জেতার পর থেকে ইউরোতে দাপট দেখানো হচ্ছিল না ডেনমার্কের। সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল কোয়ার্টার-ফাইনাল। এবার সেই বাধা টপকে শেষ চারের টিকেট কাটলো দলটি।
ডেনমার্ক জিতলেও ম্যাচে বল দখল, আক্রমণ সাজানোয় এগিয়ে ছিল চেক প্রজাতন্ত্র। ৫৬ শতাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রাখে তারা। গোলমুখে ১৬টি শট নেয় তারা, এর মধ্যে ৫টি ছিল লক্ষ্যে। ডেনমার্কের নেওয়া ১১টি শটের ৭টি ছিল লক্ষ্যে। চেক প্রজাতন্ত্র কর্নায় আদায় করে ৯টি, ডেনমার্ক ৭টি।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। কর্নার কিকে দারুণ এক হেডে বল জালে জড়ান ডিলানে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে কাসপার ডালবার্গের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ডেনিশরা। বিরতি থেকে ফিরে গোলশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে চেক প্রজাতন্ত্র। গোলের দেখা পেতেও সময় লাগেনি। ৪৯তম মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমান প্যাত্রিক শিক। এরপর অনেক চেষ্টা করেও আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দল।