পাপনের পছন্দ মাহমুদউল্লাহ, দল নিয়েছে সৌম্যকে
চট্টগ্রাম টেস্ট থেকেই সাকিব আল হাসানকে নিয়ে শঙ্কা ছিল। বাঁ ঊরুতে টান পড়ায় দ্বিতীয় দিন মাঠ ছাড়া সাকিব পরের তিন দিন ছিলেন দর্শক হয়ে। চোখের সামনে দল হারছে, বসে বসে দেখতে হয়েছে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারকে। চোটের উন্নতি না হওয়ায় ঢাকা টেস্ট থেকেও ছিটকে যান সাকিব।
শুরুতে জানানো হয় স্কোয়াড বড় থাকায় সাকিবের জায়গায় কাউকে নেওয়া হবে না। যদিও পরদিনই পাল্টে যায় পরিকল্পনা। সাকিবের জায়গায় স্কোয়াডে ভেড়ানো হয় সৌম্য সরকারকে। যদিও সাকিবের বিকল্প হিসেবে চার নম্বর অপশন ছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
ঢাকা টেস্টে হারের পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, সাকিবের বিকল্প হিসেবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে প্রথম পছন্দ ছিল তার। এ ছাড়া আরও তিনজন ক্রিকেটারের নাম উল্লেখ করেছিলেন তিনি। যেখানে সৌম্য ছিলেন সবার শেষে।
ঢাকা টেস্টে সৌম্য ব্যর্থ হওয়াতেই কিনা নিজের পছন্দের কথা জানিয়ে দিলেন বিসিবি সভাপতি। নাজমুল হাসান বলেন, 'যখন শুনলাম সাকিব ইনজুরিতে, তখন এক এক করে অনেক নাম বলা হয়েছে। ওখানে আমার সামনে আকরাম, নান্নু, সুজন, বাশার ছিল। আমি ওদেরকে অপশন দিয়েছিলাম চারটা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নাম্বার ওয়ান, তারপর মোসাদ্দেক, শেখ মেহেদী, এবং চার নম্বর অপশন ছিল সৌম্য। তারা সৌম্যকে বাছাই করেছে।'
নিজে থেকেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খোঁজ করেন বিসিবি সভাপতি। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ জানান তার পিঠে ব্যথা। এ নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে কল করেছিলাম। মাহমুদউল্লাহ বললো তার ব্যাক পেইন। বললাম তাড়াতাড়ি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের খোঁজ করো। খোঁজ করলো, বললো মোসাদ্দেক তো ঢাকায়-ই নাই। আমরা চেষ্টা করেছি। ওদের পছন্দ একটাই, বাকি কারও নাম বলেনি।'
কেবল একটি বিষয় নিয়েই নয়, পুরো দলের প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন নাজমুল হাসান। পাশাপাশি তাকে এক কথা বলে অন্য সিদ্ধান্ত নেওয়াতেও চটেছেন তিনি, 'স্কোয়াডে পাঁচটা পেসার আছে। কেন খেলছে না? চট্টগ্রামে খেলার কথা ছিল, খেলেনি। এখানেও অন্তত দুজন খেলবে বলে আমাকে নিশ্চিত করেছে। কিন্তু খেলেনি কেন? আমাকে তো বলা হচ্ছে খেলবে। পরে দেখি নামছে না। অধিনায়ক ও কোচ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, আমরা কেউ নেই এখানে।'