পেস বোলিংয়ে কিউইদের চমকে দিতে চান ডমিঙ্গো
ঘরের মাঠে সব সময়ই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। কিউইদের মাটিতে বেহাল দশা হয়ে যায় ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলগুলোরও। প্রতিপক্ষকে চেপে ধরতে পেস বোলিংকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে থাকে নিউজিল্যান্ড। এবার সেই পেস বোলিংয়েই নিউজিল্যান্ডকে চমকে চান বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
৭ জন পেসার নিয়ে নিউজিল্যান্ডে গেছে বাংলাদেশ। দলে আছেন তরুণ হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অটো চয়েজ হয়ে ওঠা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন যেকোনো উইকেট বাংলাদেশের ভরসার নাম। এ ছাড়া মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন, আল আমিন হোসেনরাও প্রতিপক্ষকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলার সামর্থ্য রাখেন।
পেস বোলারদের দেশে এবার পেস আক্রমণ দিয়েই জবাবটা দিতে চান ডমিঙ্গো। প্রোটিয়া এই কোচ বলছেন, 'আমাদের বেশ কয়েকজন তরুণ ফাস্ট বোলার উঠে আসছে, নিউজিল্যান্ড হয়তো ওদের আগে সেভাবে দেখেনি। আমার ধারণা, তারা হয়তো এই পেসারদের দেখার আশাও করছে না। কিন্তু ওরা দারুণ সম্ভাবনাময়। হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদরা বেশ দারুণ বোলিং করছে। যে ফাস্ট বোলাররা এখন উঠে আসছে, তাদের নিয়ে আমরা রোমাঞ্চিত।'
ফরম্যাটটাও বাংলাদেশের প্রিয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৫ ওয়ানডে খেলে ১০টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাটিতে কিউইদের দুবার হোয়াইওয়াশ করার সুখস্মৃতিও আছে তামিম ইকবালের দলের। বাংলাদেশ কোচও মনে করালেন, প্রতিপক্ষ যেই হোক ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দুর্বল দল নয়।
দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ বলেন, 'আমার মনে হয় এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী ফরম্যাট ওয়ানডে। আপনি যদি বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্স এবং ক্রিকেটারদের গড় দেখেন, ওয়ানডে ক্রিকেটে বলার মতো আমাদের বেশ ভালো ভালো ব্যাপার আছে। আমার মতে এটাই আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী ফরম্যাট।'
শনিবার ভোরে ডানেডিনে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। ২৩ মার্চ ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে। এই ম্যাচটি হবে দিবা-রাত্রির। ২৬ মার্চ ওয়েলিংটনে শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল। ম্যাচ তিনটি ২৮, ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।