বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামে নিষিদ্ধ বিয়ারের বিপুল মজুদ কারা পাবে?
বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র দুদিন আগে স্টেডিয়ামে অ্যালকোহল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজক দেশ কাতার। এর ফলে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছিল বিশ্বকাপে বিয়ার সরবরাহের দায়িত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠান বাডওয়াইজার। বিশ্বকাপের জন্য আনা বিপুল পরিমাণ বিয়ারের ক্যান তারা কী করবে এবং এই ক্ষতিই বা কিভাবে কাটিয়ে উঠবে, সেটিই ছিল প্রশ্ন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে টুইস্ট রেখেছে বাডওয়াইজারও! প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বিশ্বকাপজয়ী দেশেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে এই সবগুলো বিয়ার!
বিশ্বকাপজয়ী দেশের ফুটবলপ্রেমীদের উদযাপন করতে দেওয়ার জন্য কাতারে আনা সব বিয়ার মজুত করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাডওয়াইজার। এই সিদ্ধান্তের কথা সমাজ -মাধ্যমেও জানানো হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে। রোববার টুইটারে বাডওয়াইজারের পক্ষ থেকে টুইট করা হয়- "নতুন দিন, নতুন টুইট! বিশ্বকাপজয়ী দেশই পাবে আমাদের বিয়ারগুলো। কে জিতবে এবারের বিশ্বকাপ?"
অন্যদিকে ক্ষতি সামলাতে ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য বাডওয়াইজার ফিফাকে চুক্তির চাইতে ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড কম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করবে আমেরিকা, মেক্সিকো এবং কানাডা। ফলে আগামী বিশ্বকাপে স্পনসরশিপ বাবদ ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার আয় কমবে।
দোহার সিটি সেন্টারে ফুটবলপ্রেমীদের জন্য যে ফ্যান জোন করা হয়েছে, সেখানে বিয়ার বিক্রি করায় ছাড় দিয়েছে কাতার প্রশাসন। সেখানে অবশ্য বেশ চড়া দামেই বিয়ার কিনতে হবে আগ্রহীদের। ৫০০ মিলিলিটার বিয়ারের জন্য খরচ করতে হবে ১২ পাউন্ড।
ব্রিটেনের তিনটি কারখানা থেকে সমুদ্রপথে প্রায় আট হাজার মাইল অতিক্রম করে বিয়ারের হাজার হাজার ক্যান আনা হয়েছিল কাতারে। কিন্তু আয়োজক দেশের শেষ মুহূর্তের সিদ্ধান্তের কারণে প্রায় সব বিয়ারই ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আজ ২০ নভেম্বর (রোববার) পর্দা উঠবে কাতার বিশ্বকাপের। কিন্তু টুর্নামেন্টের দুদিন আগে কাতার ফুটবল সংস্থার সভাপতি শেখ জসিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল-থানি বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলোতে বিয়ার বিক্রি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। রাজপরিবারকে রাজি করানো সম্ভব নয় বুঝে ফিফার কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট বিয়ার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন, যদিও সঠিক সমাধান মেলেনি এখনও।
সূত্র: হেরাল্ড সান