ক্যামেরুনকে গোল দিয়ে কেন উদযাপন করলেন না সুইস স্ট্রাইকার এমবোলো!
বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম গোল করার পর প্রত্যেক খেলোয়াড়ের মধ্যেই কাজ করে বাড়তি উচ্ছ্বাস। বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুনের ম্যাচে বহুল-আরাধ্য প্রথম গোলের দেখা পান সুইজারল্যান্ডের স্ট্রাইকার ব্রিল এমবোলো। কিন্তু গোল করেও উদযাপন করলেন না তিনি!
কীভাবে উদযাপন করবেন, গোলটি যে এমবোলো করেছেন নিজের জন্মভূমির বিপক্ষেই!
ক্যামেরুনের বিপক্ষে সুইজারল্যান্ড জিতেছে ১-০ গোলে। একমাত্র এই গোলটিই এসেছে ক্যামেরুনে জন্ম নেওয়া এমবোলোর পা থেকে।
ম্যাচের ৪৮ মিনিটে গোল করেন এমবোলো। সতীর্থরা যখন গোল উদযাপন করার জন্য তার দিকে ছুটে আসছিলেন, এমবোলো তখন ক্ষমাপ্রার্থনার ভঙ্গিতে হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে রইলেন। ২৫ বছর বয়সি এই স্ট্রাইকার ভাব-ভঙ্গিতে স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন, মাতৃভূমির বিরুদ্ধে করা এই গোলটি তিনি খুব একটা উপভোগ করতে পারছেন না।
এমবোলোর জন্ম ক্যামেরুনের রাজধানী ইওয়ান্দেতে, ১৯৯৭ সালে। শৈশবেই তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এমবোলোর বয়স যখন পাঁচ, তখন তার মা তাকে নিয়ে চলে যান ফ্রান্সে।
ফ্রান্সে গিয়ে এক সুইসকে বিয়ে করেন এমবোলোর মা। সেখান থেকে তারা চলে যান সুইজারল্যান্ডের বাসেলে। সেখানেই বেড়ে ওঠেন এমবোলো।
২০১৪ সালে সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্ব পান এমবোলো। পরের বছরই সুযোগ পেয়ে যান জাতীয় দলের হয়ে খেলার। তবে জন্মভূমি ক্যামেরুনের প্রতি টান যে কমেনি, তা বোঝা গেল বৃহস্পতিবারের ম্যাচে তিনি গোল করার পরই।
এদিকে ক্যামেরুনের কোচ রিগোবার্ট সং ক্যামেরুনের 'সুইস' স্ট্রাইকারের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর তাকে এমবোলোর সঙ্গে কথা বলতে ও অভিনন্দন জানাতে দেখা গেছে।
সং সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা একে অপরকে চিনি। ও আমার ছোট ভাই। প্রায়ই আমাদের ফোনে কথা হয়। ওকে অভিনন্দন জানাতে চেয়েছিলাম। সেটা করাই ন্যায়সংগত হবে। আলাদা দলে আছি বলে তো এমন নয় যে আমরা দুজনে আর ভাই নেই।'
ক্যামেরুনের কোচ আরও বলেন, নিজের দল হারলেও এমবোলো বিশ্বকাপে গোল করতে পেরেছে, এ নিয়ে তিনি গর্বিত।
- সূত্র: রয়টার্স