বিশ্বকাপে কালো মাস্ক পরছেন কেন ফুটবলাররা?
ব্যাটম্যান এমনকি হানিব্যাল লেকটারের সাথেও তুলনা দেওয়া হয়েছে তাদের। তবে এবারের বিশ্বকাপে কিছু ফুটবলারের কালো মাস্ক পরাটা কোনো ফ্যাশন স্টেটমেন্ট ছিল না, বরং এক ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবেই বিশেষ ধরনের এ মাস্ক পরছেন তারা। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
পলিকার্বনেটের মতো উপাদান দিয়ে তৈরি এ মাস্কগুলো ফুটবলারদের মুখের আগের চোট পাওয়া অংশকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। মুখে আগের চোট থাকলে, খেলতে গিয়ে আবারও ধাক্কা লাগলে তা গুরুতর হতে পারে আবারও।
এ আশঙ্কা থেকে বাঁচতেই এ ব্যবস্থা নিয়েছেন তারা। থিডি প্রিন্টারে হুবহু তাদের মুখের আদলে তৈরি করা হয় এ মাস্কগুলো।
২০ বছর বয়সী ক্রোয়েশিয়ান ফুটবলের 'সোনার ছেলে' ইয়োস্কো গোয়ার্দিয়োল মরক্কোর আর কানাডার বিরুদ্ধে এ মাস্ক পরেই খেলেছেন। সতীর্থ উইলি অরবানের সাথে সংঘর্ষে নাকের হাড় ভেঙে গিয়েছিল তার। মুখে আর চোখেও আঘাত পেয়েছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার তারকা খেলোয়াড় ৩০ বছর বয়সী সং হিউং-মিনও আগের চোটের কারণে এই কালো মাস্ক পড়ে খেলতে নেমেছেন। গত ১ নভেম্বর চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে আঘাত পেয়ে চোখের সকেট ভেঙে যায় এ টটেনহাম হটস্পার ফুটবলারের। এটি পরে খেলতে নামার পর তার অনুভূতি জানিয়ে বলেছেন, পরতে বেশ আরামদায়ক লেগেছে তার।
ইংল্যান্ডের সাথে এক ম্যাচে মুখে চোট পাওয়ায় এ মাস্ক পরে বিশ্বকাপে খেলেছেন ইরানের গোলকিপার আলিরেজা বেইরানভান্দ। গত অক্টোবরে মুখে চোট পাওয়ায় মাস্ক পড়ে খেলেছেন তিউনিসিয়ার এলিস স্খিরিও।