মেসিও মানুষ: নেদারল্যান্ডসের গোলরক্ষক মেসির পেনাল্টি নিয়ে
নেদারল্যান্ডন্সের গোলরক্ষক আন্দ্রেস নোপার্ট মেসিকে মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালে মেসি যদি কোনো পেনাল্টি কিক পান, তবে তা ঠেকাবেন বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি।
নোপার্টের ভাষ্যমতে, 'সে আমাদের মতোই একজন। সে-ও মানুষ।'
মেসির আন্তর্জাতিক গোলসংখ্যা মোট ৯৪। এর মাঝে ২৬ পেনাল্টি কিকে তিনি ২১টি গোল করতে সক্ষম হন।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পেনাল্টি কিকে গোল পেয়েও ২-১ হারতে হয়েছিলো মেসির দলকে। পোল্যান্ডের ম্যাচে মেসির পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন পোলিশ গোলরক্ষক সেজেসনি, তারপর ২-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে আসে আর্জেন্টিনা। নকআউটে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়ে শুক্রবার ডাচদের মোকাবেলা করবে স্কালোনির শিষ্যরা।
৬ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার ডাচ গোলরক্ষক দ্বিতীয় বিভাগের ফুটবল ক্লাব ডর্ড্রেক্ট ছেড়ে ২০২১-এর জানুয়ারিতে হিরেনভিনে এসে নিজের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পান। নিজের ওপর তার আত্মবিশ্বাস আছে, এবং মেসি খেলায় সুযোগ হাতছাড়া করতে পারে বলেও মনে করেন। তিনি বলেন, 'এটা সময়সাপেক্ষ একটি বিষয়। মেসিও মিস করতে পারে যা আমরা টুর্নামেন্টের শুরুতেই দেখেছি।'
২৮ বছর বয়সি নোপার্টের প্রথম ম্যাচে গোলবারের সামনে দাঁড়িয়ে সেনেগালের সঙ্গে ২-০ ব্যবধানে জয় পায় নেদারল্যান্ডস। এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় ডাচ খেলোয়াড় হিসেবে তিনি বিশ্বকাপের আসরে আন্তর্জাতিক ডেব্যু করেন।
চার ম্যাচ খেলে নোপার্টের হাত ফসকে মাত্র ২টি গোল জালে ভিড়েছে। নিজ দলের হয়ে ১৭টি অন শট বলের ১৫টি ধরতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার গোল বাঁচানোর শতকরা হিসাব দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, ৮৮.২ ভাগ। এই বিশ্বকাপে ৯০ ভাগ গোল রক্ষা করে এখন পর্যন্ত সেরা গোলরক্ষক হয়ে আছেন তিউনিসিয়ার গোল রক্ষক আইমেন দাহমেন, যিনি ১০-এর মধ্যে ৯টি গোল বাঁচিয়েছেন।
নিজ দলের গোলরক্ষক সম্পর্কে প্রশংসা করে লুইস ভ্যান গাল বলেছেন, 'সে সবার সাথে সহজে মিশে যেতে পারে; সোজাসাপটা কথা বলে এবং স্পষ্ট কথার মানুষ। তার বিশেষ গুণ হচ্ছে সে বল থামিয়ে ফেলতে পারে। সে আজকেই ৩ বার বল ধরেছে এবং সঠিকভাবেই তার কাজটি সে করে।'
নেদারল্যান্ডস যদি আর্জেন্টিনার সঙ্গে জিতে যায় তবে সেমিফাইনালে ব্রাজিল অথবা ক্রোয়েশিয়াকে মোকাবিলা করবে। সেমিফাইনালের অন্য সমীকরণে মরক্কো ও পর্তুগালের খেলায় জয়ী দল খেলবে ফ্রান্স অথবা ইংল্যান্ডের সঙ্গে।
নেদারল্যান্ডস এখন পর্যন্ত তিনটি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে একবারও বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। ১৯৭৪, ১৯৭৮ এবং ২০১০ সালের বিশ্বকাপে উঠেও তারা শিরোপা ছুঁতে পারেনি।