বিশ্বকাপে মরক্কোর ঐতিহাসিক যাত্রা: অ্যাটলাস লায়নদের প্রশংসায় মুখর সোশ্যাল মিডিয়া
অবশেষে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সই থামিয়ে দিল মরক্কোর বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন। কাতার বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে ওয়ালিদ রেগ্রাগুইয়ের দল। কিন্তু সেমি-ফাইনালে হেরছে বলেই কী মরক্কোর জয়যাত্রা এখানেই শেষ? প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে সেমি-ফাইনালে ওঠার রেকর্ড, বিশ্বখ্যাত তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালকে হারিয়ে দেওয়া কিংবা লুইস এনরিকের তারকাঠাসা দল স্পেনকে পেনাল্টিতে হারানো... এই সব অবিশ্বাস্য কীর্তির ফলেই সেমি-ফাইনালে উঠেছিল মরক্কো। তাই হেরে যাওয়ার পরেও মরক্কো বন্দনায় মুখর স্টেডিয়ামের ভেতরে-বাইরে থাকা দর্শক থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া, গণমাধ্যম ও সাবেক ফুটবলাররা!
মরক্কো দলের খেলোয়াড়রাই স্বীকার করেছিলেন, তাদের লক্ষ্য ছিল শেষ ষোলো পার হওয়া। কিন্তু বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলবেন এমনটা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি তারা! গোলকিপার ইয়াসিন বোনোর অবিশ্বাস্য সেভ, কঠিন রক্ষণ দুর্গ মিলিয়ে প্রতিপক্ষের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিজেদের দাড় করাতে পেরেছে মরক্কো। শনিবার বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ রয়েছে আফ্রিকান সিংহদের সামনে। এরপরেই দেশে ফিরে যাবেন তারা।
এদিকে মরক্কোর প্রশংসা করে খ্যাতনামা ওয়েবসাইট ও ম্যাগাজিনগুলো পোস্ট করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এদের মধ্যে রয়েছে মার্কিন ওয়েবসাইট ব্লেচার রিপোর্ট ফুটবল, যুক্তরাজ্যভিত্তিক ম্যাগাজিন গোল:
জার্মানির প্রাক্তন ফুটবলার মেসুত ওজিলও মেতেছেন মরক্কো-বন্দনায়। তিনি মনে করেন, মরক্কোর নিজেদের অর্জনে অত্যন্ত গর্বিতভাবে মাথা উচু করে চলা উচিত।
মিডিয়া সমালোচক সানা সাঈদ মরক্কোর জয়যাত্রার দিকে ইঙ্গিত করে দিয়েছেন এক বিশেষ বার্তা-
গেল আগস্টেই মাত্র দায়িত্ব নিয়ে মরক্কোকে সেমি-ফাইনালে তোলা কোচ ওয়ালিদ রেগ্রাগুইয়ের প্রশংসায় মেতেছেন লেখক মুসা ওকওঙ্গা।
আর এই মরক্কোই যে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো কান্নার কারণ হয়েছে, সেকথা তো না বললেই নয়!
সূত্র: আল-জাজিরা