১৮১ জন আরোহী নিয়ে যেভাবে বিধ্বস্ত হলো দ.কোরিয়ায় বিমান (ভিডিও)
দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ এক বিমান দুর্ঘটনায় অন্তত ১২০ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় ইয়োনহ্যাপ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ১৮১ জন আরোহীকে নিয়ে বিমানটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেশটির একজন দমকল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত একজন যাত্রী ও একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে।
তবে স্থানীয় বার্তাসংস্থা ইয়োনহ্যাপকে দেশটির ন্যাশনাল ফায়ার এজেন্সি জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে- এই দুইজন জীবিত ব্যক্তি ছাড়া বোর্ডে থাকা বাকি সবাই মারা গেছেন।
দুই ইঞ্জিনের উড়োজাহাজটি কীভাবে বিধ্বস্ত হয় তার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি দ্রুতগতিতে রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খায়। সঙ্গে সঙ্গেই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে আগুনের কুণ্ডে পরিণত হয়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিশাল কালো ধোঁয়ার কুণ্ডুলিতে আকাশ ছেয়ে যায়।
প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে বিধ্বস্ত হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে উড়োজাহাজটি এর পেটের ওপর ভর করে (বেলি ল্যান্ডিং) অবতরণের চেষ্টা করেছিল। সম্ভবত এর ল্যান্ডিং গিয়ারগুলো পুরোপুরি খুলেনি।
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, জোড়া ইঞ্জিনের উড়োজাহাজটি চাকা ছাড়াই রানওয়ে দিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত ছেঁচড়ে যায়,\। তারপর রানওয়ে থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিমানবন্দরের দেয়ালে ধাক্কা খায়। পরে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির বিভিন্ন অংশে আগুন জ্বলতে ও ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।
ইয়োনহ্যাপের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোর্ডে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার এবং ২ জন থাই নাগরিক ছিলেন। ন্যাশনাল ফায়ার এজেন্সি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৩৭ জন নারী এবং ২৫ জন পুরুষ রয়েছেন।
দুর্ঘটনার কারণ এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে স্থানীয় মিডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিমানের সিস্টেমে পাখি আটকে যাওয়ার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ফায়ার এজেন্সি এক বিবৃতিতে বলেছে, এখন পর্যন্ত একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ও একজন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া, ৩০টি ফায়ার ট্রাক ও ৮০ জন ফায়ারফাইটার দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন।