বহিষ্কারের হুমকির পর নিজেই সরে দাঁড়ালেন ওসাকা
ফ্রেঞ্চ ওপেনে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন না বলে ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন নাওমি ওসাকা। কথা মতোই কাজ করেছেন জাপানের এই টেনিস তারকা। অংশ নেননি সংবাদ সম্মেলনে। নিয়ম অমান্য করায় ওসাকাকে বহিষ্কারের হুমকি দিয়ে রেখেছিল ফ্রেঞ্চ ওপেনের টুর্নামেন্ট কমিটি। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি তিনি, নিজেই রোলাঁ গারো থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
ফ্রেঞ্চ ওপেনে দাপুটে শুরু করেন বিশ্বের ২ নম্বর এই নারী টেনিস খেলোয়াড়। প্রথম রাউন্ডে রোমানিয়ার প্যাট্রিসিয়া মারিয়াকে ৬-৪, ৭৬ গেমে হারান তিনি। পূর্ব ঘোষণামাফিক ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেননি ওসাকা। এতে আর্থিক শাস্তির মুখে পড়তে হয় তাকে। ১৫ হাজার ডলার জরিমানা করার পাশাপাশি ওসাকাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সামনে একই কাজ করলে বহিষ্কার করা হবে তাকে।
ওসাকা তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকার কারণে নিজে থেকেই সরে গেলেন। সবার ভালোর জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। টুইটারে এক বিবৃতি দিয়ে ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাপানের এই টেনিস খেলোয়াড়।
চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক তার বিবৃতিতে বলেছেন, 'টুর্নামেন্ট, অন্য খেলোয়াড় ও নিজের ভালোর জন্য আমার সরে দাঁড়ানো উচিত বলে মনে হয়েছে। প্যারিসে এখন সবাই কেবল টেনিসেই মনোযোগ দিতে পারবে। কখনই আমি ঝামেলার কারণ হয়ে থাকতে চাইনি। আমি মনে করি, ব্যাপারটা আরও পরিষ্কার করে বোঝাতে পারতাম। সত্যিটা হলো, আমি ২০১৮ ইউএস ওপেন থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছি।'
এরআগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে ওসাকা জানিয়েছিলেন, মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে তিনি সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন না। তারকা এই টেনিস খেলোয়াড় লিখেছিলেন, 'এসব আমি লিখছি এটা জানাতে যে, রোলাঁ গারোতে আমি কোনো সংবাদ সম্মেলন করছি না। আমি প্রায়ই অনুভব করছি যে, অ্যাথলেটদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি মানুষের কোনো সম্মান নেই।'
'যখনই আমি কোনো সংবাদ সম্মেলন বা কোনো ম্যাচ খেলতে নামি, তখন এটা বুঝতে পারি। যখন সংবাদ সম্মেলনে বসি, প্রায়ই এমন প্রশ্ন করা হয়, যা আগে একাধিকবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। আবার এমন প্রশ্ন করা হয়, যা আমাদের মনে সন্দেহ জাগায়। আমাকে সন্দেহ করে এমন মানুষদের কোনো বিষয়ে পরিণত হতে চাই না আমি।'