ফ্রেঞ্চ ওপেনে 'রাজনৈতিক' মন্তব্য করে বিতর্ক উসকে দিলেন জোকোভিচ
ক্যারিয়ারের ২৩ তম গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের লক্ষ্যে ফ্রেঞ্চ ওপেনে খেলতে নেমেছেন নোভাক জোকোভিচ। ইতোমধ্যে তিনি উঠে গেছেন তৃতীয় রাউন্ডেও। রাফায়েল নাদালের সঙ্গে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের রেকর্ড ভাগাভাগি করছেন তিনি, এককভাবে শীর্ষে উঠতে আরেকটি শিরোপা জয় দরকার তার।
সেটি করতে এসে যেন বিপাকেই পড়েছেন জোকোভিচ। সবার কাছে 'জোকার' নামে পরিচিত এই সার্বিয়ান টেনিস তারকা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন রাজনৈতিক এক বার্তা দেওয়ার মাধ্যমে।
খেলাধুলা সবসময় সম্প্রীতির চর্চা করে, জোকোভিচের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সেই খেলাকে ব্যবহার করছেন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে। তা কী করেছেন সার্বিয়ান টেনিস কিংবদন্তি? ম্যাচ জয়ের পর ক্যামেরার ওপরে তিনি লিখেছেন, 'সার্বিয়ার মধ্যমণি কসোভো, তোমরা সহিংসতা বন্ধ করো।'
কসোভো ২০০৮ সালে সার্বিয়া থেকে আলাদা হয়ে নিজেদেরকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে, যা সার্বিয়ানরা মেনে নেননি। জোকোভিচের এই লেখায় যেটি ফুটে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে সেটি হলো, সার্বিয়ান জাতীয়াবাদ এবং রাজনৈতিক ইস্যুকেই তিনি সামনে টেনে এনেছেন।
এর ফলে সমালোচনার শিকার হচ্ছেন জোকার। কসোভোর অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিকে (আইওসি) ওই ঘটনার জন্য জোকোভিচের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। আইওসির সভাপতি থমাস বাখকে লেখা চিঠিতে জোকোভিচের বিরুদ্ধে খেলাধুলার নীতি ও 'অলিম্পিক চার্টার' লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, নোভাক জোকোভিচ সার্বিয়ান জাতীয়তাবাদীদের হয়ে অপপ্রচার করেছেন। আর এটি করতে তিনি টেনিসকে মঞ্চ হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
এ কাজ করে জোকোভিচ যে ঠিক করেননি, মনে করেন ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী অ্যামেলি ওডেয়া-কাস্ত্রা। মানবাধিকার রক্ষা কিংবা জনগণকে সর্বজনীন মূল্যবোধে একত্র করার ক্ষেত্রে খেলাধুলার প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিতে পারেন ক্রীড়াবিদরা। কিন্তু জোকোভিচের বার্তাটা ছিল রাজনৈতিক। তাই ওডেয়া-কাস্ত্রার ভাষায়, 'এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়া উচিত নয়।'
তবে এসবে থোড়াই কেয়ার সর্বকালের সেরা টেনিস খেলোয়াড়দের একজন জোকোভিচের। বরং সুযোগ পেলে এই কাজ আবারো করবেন বলেই জানিয়েছেন, 'আমাকে নিয়ে বিতর্ক ছাড়া কোনো গ্র্যান্ডস্লাম হবে সেটা তো ভাবাই যায় না। আমি এসব নিয়ে চিন্তিত নই। আমাকে শাস্তি দেওয়া হলেও যা করেছি তা থেকে পিছিয়ে আসব না।'