বিবর্ণ মুস্তাফিজ, রাজস্থানের হার
প্রথম দুই ওভারে খরুচ ২৩ রান। মুস্তাফিজুর রহমানকে আর বোলিংয়ে টানলেন না রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ১৭তম ওভারে গিয়ে ভরসা রাখার প্রতিদান দেন বাংলাদেশ পেসার, ৭ রান খরচায় ১ উইকেট। যদিও ম্যাচ ততোক্ষণে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মুঠোয় চলে গেছে।
ইনিংসের ১৯তম ও নিজের শেষ ওভারটি পূর্ণ করা হয়নি মুস্তাফিজের। তার প্রথম ৩ বলেই ৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় রোহিত শর্মার দল। ৩.৩ ওভারে ৩৭ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। এই ম্যাচে রাজস্থানের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান খরচা করেছেন তিনি। তার এমন অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্সের ম্যাচে রাজস্থানকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে মুম্বাই।
বৃহস্পতিবার দিল্লীর অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুর চার ব্যাটসম্যানের মাঝারি ইনিংসে চার উইকেটে ১৭১ রান তোলে রাজস্থান। জস বাটলার ৪১, ইয়াসাসভি জয়সওয়াল ৩২, সঞ্জু স্যামসন ৪২ ও শিবাম ধুবে ৩৫ রান করেন।
জবাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অসাধারণ ব্যাটিং করে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান ম্যাচ সেরা কুইন্টন ডি কক। ৫০ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ক্রুনাল পাণ্ডিয়া ২৬ বলে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ১৬ রান করা কাইরন পোলার্ডকে সঙ্গে নিয়ে দলের ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন ডি কক।
চলতি আইপিএলে সময়টা ভালো যাচ্ছে না মুস্তাফিজদের দলের। ছয় ম্যাচে মাত্র দুটিতে জিতেছে দলটি। আট দলের টুর্নামেন্টে পয়েন্ট টেবিলের সাত নম্বরে আছে রাজস্থান। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট এই আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এই ম্যাচ দিয়ে জয়ে ফিরলো। ছয় ম্যাচে তিনটিতে জিতে টেবিলের চার নম্বরে রোহিত শর্মারা।
রাজস্থানের প্রতিটি ম্যাচে সুযোগ পাওয়া মুস্তাফিজ এদিন নিজের প্রথম ওভারে খরচা করেন ১৩ রান। তার এই ওভারে একটি চার ও একটি ছক্কাসহ ১২ রান তোলেন ডি কক, এক রান নেন রোহিত। নিজের দ্বিতীয় ওভারটা তুলনামূলকভাবে ভালো করেন বাংলাদেশ পেসার, খরচা করেন ৮ রান।
তৃতীয় ওভারটি মন মতোই হয় মুস্তাফিজের। ৭ রান দিয়ে নেন ব্যাট হাতে ঝড় তোলা ক্রুনাল পাণ্ডিয়ার উইকেট। কিন্তু ১৯তম ওভারে ৩ বলেই মুস্তাফিজের খরচা ৯ রান, জয় নিশ্চিত হয়ে যায় মুম্বাইয়ের। এই ম্যাচে রাজস্থানের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কিপ্টে বোলিং করেন চেতন সাকারিয়া। বাঁহাতি এই পেসার ৩ ওভারে দেন ১৮ রান। ৩৩ রান খরচায় ক্রিস মরিস নেন ২ উইকেট।