মালদ্বীপ-শ্রীলঙ্কায় কোয়ারেন্টিনে থেকে দেশে ফিরবেন ওয়ার্নার-স্মিথরা
করোনাভাইরাসের প্রকোপে দিশেহারা ভারত। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। আইসিইউ নেই, অক্সিজেনের চলছে হাহাকার। এর মাঝেই চলছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। যদিও আসরটি চালিয়ে নিতে পারেনি আইপিএল কর্তৃপক্ষ। মাঝ পথে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে আইপিএল।
এমন অবস্থা হতে পারে, সেটা যেন আগেই বুঝতে পেরেছিলেন অ্যাডাম জ্যাম্পা, কেন রিচার্ডসন ও অ্যান্ড্রু টাই। ভারতে যখন করোনা সংক্রমণ চরম হারে বাড়ছিল, আইপিএল ছেড়ে দেশে ফিরে যান অস্ট্রেলিয়ার এই তিন ক্রিকেটার। কিন্তু আইপিএলে অংশ নেওয়া অস্ট্রেলিয়ার বাকি ক্রিকেটাররা পড়েছেন বিপদে।
আটকা পড়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়ান কোচ, বিশেষজ্ঞ, ধারাভাষ্যকাররাও। ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বিমান চলাচল বন্ধ। বাড়ি ফিরতে তাই অন্য পথ বেছে নিতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ানদের। অনেক পথ ঘুরে, মাঝে সেখানে কয়েকদিন থেকে তারপর দেশে ফিরতে হবে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, প্যাট কামিন্সসহ অন্যান্যদের। এ যাত্রায় অজিদের আশ্রয় হতে যাচ্ছে মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা। এখানেই কোয়ারেন্টিন করতে হবে তাদের।
ভারত ছাড়ার পর ১৪ দিন না হলে কেউ দেশে প্রবেশ করতে পারবেন না, এমনটা জানিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। এ কারণে আইপিএলে অংশ নেওয়া অস্ট্রেলিয়ানদের বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করছে বিসিসিআই। দুই-একদিনের মধ্যে ভাড়া করা বিমানে অস্ট্রেলিয়ার ৩৮ ক্রিকেটার, কোচ ও ধারাভাষ্যকারকে মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হবে। সেখান কয়েকদিন নিরাপদে থাকার পর তাদের দেশে ফেরাবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
আইপিএল স্থগিতের বিবৃতিতেই বিষয়টি জানিয়েছিল বিসিসিআই। বলা হয়েছিল, 'ক্রিকেটার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফসহ আইপিএল সংশ্লিষ্ট কারও স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় কোনো ধরনের ঝুঁকি নিতে নিতে চায় না বিসিসিআই। সবার স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আইপিএলে অংশগ্রহণকারীদের সুরক্ষিত ও নিরাপদে ফেরার ব্যবস্থা করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বিসিসিআই।'
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী নিক হকলিও এমনই জানিয়েছেন। তিনি বলছেন মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা থেকে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছানোর দায়িত্বও বিসিসিআই নিয়েছে, 'দেশে ফেরার আগ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ান সবার ভারতের বাইরে কোথাও নিরাপদে রাখতে বিসিসিআই চেষ্টা করছে। সবাইকে মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কায় রাখা হবে। এখানেই শেষ নয়। সবাইকে অস্ট্রেলিয়ায় ফেরত পাঠাতে তারা সেখান থেকে একটি ভাড়া করা বিমানের ব্যবস্থাও করবে।'
অস্ট্রেলিয়ানদের মতো এমন সমস্যায় পড়তে হয়নি ইংল্যান্ডের সব ক্রিকেটারকে। দিল্লি থেকে দেশে ফিরেছেন জনি বেয়ারস্টো, জস বাটলার, স্যাম কারান, টম কারান, স্যাম বিলিংস, ক্রিস ওকস, মঈন আলী ও জেসন রয়। তবে ভারতে আটকা পড়েছেন ইয়ন মরগান, ডেভিড মালান ও ক্রিস উড। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররাও দেশে ফিরতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার মতো এদের সবাইকেও মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা পাঠানোর ব্যবস্থা করছে বিসিসিআই।