মিরাজের সেঞ্চুরিতে স্বস্তির সংগ্রহ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন ৫ উইকেটে স্কোরকার্ডে ২৪২ রান জমা হলেও আক্ষেপের শেষ ছিল না। নাজমুল হোসেন শান্তর রান আউট, সাদমান ইসলামের রিভিউ না নেওয়াসহ বাকি উইকেটগুলোতেই ছিল হতাশা। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেও হতাশার কমতি ছিল না।
লিটন দাসের অযাচিত কাট শট কিংবা সাকিব আল হাসানের তুলে দেওয়া ক্যাচ নিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে হা-হুতাশ হয়েছে। তবে দিনশেষে বাংলাদেশ দলে স্বস্তির হাওয়া, যে হাওয়া বয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে। আট নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ডানহাতি এই অলরাউন্ডার।
সাদমান, সাকিবদের হাফ সেঞ্চুরির পর মিরাজের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪৩০ রান তুলেছে বাংলাদেশ। মিরাজ খেলেছেন ১০৩ রানের মহা কার্যকর এক ইনিংস। টেস্টে এটাই তার প্রথম সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৮ রান এসেছে সাকিবের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া সাদমান ৫৯, মুশফিকুর রহিম ৩৮, লিটন ৩৮ ও নাঈম হাসান ২৪ রান করেন।
২৪২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এদিন দলকে চরম হতাশ করেছেন লিটন। ওয়ারিক্যানের লাফিয়ে ওঠা একটা ডেলিভারি কাট করতে গিয়ে মিস করেন লিটন। বল অফ স্টাম্পে আঘাত হানে। এদিন ৪ রান করতে পেরেছেন লিটন।
প্রায় ১৭ মাস পরে টেস্ট খেলতে নেমে সাকিব আল হাসান দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েই ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বাঁহাতি অলরাউন্ডারের আউটও টেস্ট ক্রিকেটের বেমানান দৃশ্য হয়ে ধরা দেয়। ২৬ মাস পর লাল বলের ক্রিকেটে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া সাকিব অনেক বাইরের বলে ব্যাট ছুঁইয়ে ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। রাকিম কর্নওয়ালের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ১৫০ বলে ৫টি চারে ৬৮ রান করেন সাকিব।
এরপর বাংলাদেশের ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ভরসার প্রতীক হয়ে ব্যাট চালিয়ে গেছেন মিরাজ। মাঝে তাকে অনেকটা সময় সঙ্গ দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান। তাইজুল ১৮ ও নাঈম ২৪ রান করে থামলেও দৃষ্টিনন্দন সব শটে সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের টেস্টের প্রথম সেঞ্চুরি ও ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি শেষ হয় ১০৩ রানে। ১৬৮ বলে ১৩টি চারে ইনিংসটি সাজান মিরাজ।
ক্যারিবীয়দের সবচেয়ে সফল বোলার জোমেল ওয়ারিক্যান। বাঁহাতি এই স্পিনার সর্বোচ্চ ৪৮ ওভার বোলিং করে ১৩৩ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন। রাকিম কর্নওয়াল ২টি উইকেট পান। এ ছাড়া কেমার রোচ, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ও এনক্রুমাহ বোনার একটি করে উইকেট পান।