মুখে আফগানিস্তানের পতাকা এঁকে মাঠে নামলেন রশিদ খান
প্রাদেশিক রাজধানী দখল করে নেওয়ার পর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নিয়েছে তালেবান। প্রাণভয়ে ও নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ঘর-বাড়ি ফেলে কাবুল ছাড়ছে হাজারও মানুষ। কদিন আগে কাবুলে থাকা নিজের পরিবার নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন রশিদ খান। টুইটারে তারকা এই লেগ স্পিনার লিখেছিলেন, আফগানিস্তান ঘিরে তার চাওয়া একটাই, শান্তি।
এরও আগে নিজ দেশে শান্তি ফেরাতে বিশ্ব নেতাদের কাছে সাহয্যের আবেদন জানিয়েছিলেন রশিদ। টুইটে তিনি লিখেছিলেন, 'প্রিয় বিশ্বনেতারা, আমার দেশ বিশৃঙ্খলার মধ্যে আছে। শিশু, মহিলাসহ হাজার হাজার নির্দোষ মানুষ প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন। ঘরবাড়ি ও সম্পত্তি ধ্বংস হচ্ছে, হাজার হাজার পরিবার ঘরহারা হয়ে পড়ছে। এমন বিশৃঙ্খলার মধ্যে আমাদের ছেড়ে যাবেন না। আফগানদের হত্যা করা এবং আফগানিস্তানকে ধ্বংস করা বন্ধ হোক। আমরা শান্তি চাই।'
ভয়, উৎকণ্ঠা আর জীবন শঙ্কার মাঝে দেশটির ক্রিকেটের জন্য সুসংবাদ; গত বুধবার থেকে কাবুলে অনুশীলন শুরু করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। দলের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করেননি রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবী। দুজনই ইংল্যান্ডে দ্য হান্ড্রেড খেলছেন। দুজনই ইংল্যান্ডে দ্য হান্ড্রেড খেলছেন। সেখান থেকেই প্রিয় দেশকে ঘিরে বিভিন্ন বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন আফগান এই দুই তারকা ক্রিকেটার।
দ্য হান্ড্রেডে শুক্রবার ছেলেদের এলিমিনেটর ম্যাচে সাউদার্ন ব্রেভের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল রশিদ খানের দল ট্রেন্ট রকেটস। ম্যাচে ভালো সময় যায়নি তার। একে তো দল হেরেছে, তার ওপর নিজেও কিছু করতে পারেননি। ১৫ বলে ২৬ রান খরচায় উইকেটশূন্য থাকেন তিনি। এর আগে ব্যাট হাতে ৯ বলে মাত্র ২ রান করেন।
এরপরও ম্যাচে সবার নজর ছিল রশিদের দিকে। আফগানিস্তানের পতাকা মুখে এঁকে মাঠে নেমেছিলেন দেশটির আইকন এই ক্রিকেটার। ম্যাচ চালকালীন রশিদ খানের ডেলিভারি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়। দেখানো কীভাবে তিনি কীভাবে তিনি লেগ স্পিন করেন, গুগলি করেন। কিন্তু এদিন কিছুক্ষণ পরপরই রশিদ খানের মুখ দেখানো হচ্ছিল টেলিভিশনে।
দুদিন আগেই নিজের কয়েকটি ছবি পোস্ট করে রশিদ তার টুইটে লিখেছিলেন, 'আমাদের জাতিকে মূল্য দিতে এবং ত্যাগের কথা ভুলে না যেতে আজ আমরা একটু সময় নিই চলুন। আমরা আশা এবং দোয়া করি শান্তিপূর্ণ, উন্নত, এবং সংঘবদ্ধ জাতির জন্য।'
আফগান ক্রিকেট নিয়ে অবশ্য ভাবছেন না রশিদ। তার মতে ক্রিকেট ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। অস্ট্রেলিয়ার এসইএন রেডিওকে তিনি বলেছেন, 'ক্রিকেট খুব বেশি প্রভাবিত হবে না। দেশে সবাই ক্রিকেট ভালোবাসে। খেলাটাকে তারা পছন্দ করে, ক্রিকেটারদের পাশে থাকে এবং সেটা দেখাটা দারুণ। গত কিছুদিনে আমরা কিছু সাক্ষাৎকার (তালেবানদের) দেখেছি। তারা খেলা নিয়ে কথা বলেছেন এবং বলেছেন যে, তাদের কোনো সমস্যা নেই। এই মুহূর্তে তারা ক্রিকেটে সমস্যা দেখছেন না।'