ডাবল সেঞ্চুরির পথে মুশফিক
কথা রেখেছেন মুমিনুল হক। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। এবার সেই পথে হাঁটলেন মুশফিকুর রহিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন অভিজ্ঞ এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানও।
এখন তিনি ডাবল সেঞ্চুরির পথে। বিকেল তিনটায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ব্যক্তিগত ১৫৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিক।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে করা এই সেঞ্চুরি দিয়ে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলকে পেছনে ফেলেছেন মুশফিক। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি সংখ্যা এখন ৭টি। তার পেছনেই অবস্থান আশরাফুলের। দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকা থাকা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান করেছেন ৬টি সেঞ্চুরি।
দলের বাকিদের মতো মুশফিকও টেস্টে সেভাবে মেলে ধরতে পারছিলেন না। ২০১৮ সালের নভেম্বরে ঘরের মাঠে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ২১৯ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন মুশফিক। এরপর ১০টি ইনিংসে ব্যাটিং করলেও কেনো সেঞ্চুরির দেখা পাননি তিনি।
সর্বশেষ ১০ ইনিংসের মধ্যে দুটি হাফ সেঞ্চুরি ছিল মুশফিকের। সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন ভারতের বিপক্ষে গোলাপি বলের টেস্টে। ওই সিরিজের পর অবশ্য আর বাংলাদেশের হয়ে খেলেননি মুশফিক।
নিরাপত্তা ইস্যুতে পাকিস্তান সফর থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন মুশফিক। মাঝের এই সময়টাতে বাংলাদেশের হয়ে কোনো ফরম্যাটেই খেলেননি ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
তিন মাস পর জাতীয় দলের ফিরেই ব্যাটকে নিজের মতো করে কথা বলালেন মুশফিক। মুমিনুলের সেঞ্চুরির কিছুক্ষণ পর মুশফিকও পৌঁছে যেতে পারতেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে। কিন্তু অপেক্ষা বাড়িয়েছে মধ্যাহ্নভোজ। মুশফিক যখন ৯৯ রানে ব্যাটিং করছিলেন, তখন শুরু হয় মধ্যাহ্নভোজের বিরতি।
বিরতি থেকে ফিরে অবশ্য আর অপেক্ষায় থাকেননি মুশফিক। ১৬১ বলে ১৮টি চারে পূর্ণ করে নেন সেঞ্চুরি। মুশফিকের উদযাপনও ছিল সাদামাটা। মুমিনুলের মতোই চার মেরে ১০০ ছোঁয়া মুশফিক ড্রেসিং রুমের দিকে ব্যাট উঁচিয়েই পরের বল খেলার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান।
সেঞ্চুরির সংখ্যায় মুশফিকের সামনে আছেন দুজন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। ৯টি সেঞ্চুরি নিয়ে এতদিন সবার ওপরে ছিলেন তামিম ইকবাল। এই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে তামিমকে ছুঁয়েছেন মুমিনুল।
মুমিনুল ও মুশফিকের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে রান পাহাড়ের পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে করা ২৬৫ রানের জবাবে শুরুটা ভালো না হলেও দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সেসব ভুলিয়ে দিয়েছেন মুমিনুল-মুশফিকরা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৩৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোরকার্ডে জমা হয়েছে ৫ উইকেটে ৪৭১ রান।