ম্যাক্সওয়েল-ডি ভিলিয়ার্সে কোণঠাসা সাকিবরা
বাজে শুরুর পর গুছিয়ে নিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এরপর যতো সময় গড়িয়েছে, ব্যাটকে খোলা তরবারিতে পরিণত করেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান। পরে যোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত তাণ্ডব চালান এবি ডি ভিলিয়ার্স। এই দুই ব্যাটসম্যানের ঝড়ে রীতিমতো কোণঠাসা থাকতে হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সব বোলারকে।
চেন্নাইয়ে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে কলকাতার বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২০৪ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েছে বিরাট কোহলির দল। ম্যাক্সওয়েল ও ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিং ঝড়ের ম্যাচে কঠিন সময় গেছে সাকিব আল হাসানেরও।
এদিন সাকিবকে দিয়ে ৪ ওভার করাননি কলকাতার অধিনায়ক ইয়ন মরগান। প্রথম ওভারটা অবশ্য ভালোই করেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার, খরচা করেন ৭ রান। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে তার ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন ম্যাক্সওয়েল। এই ওভারে সাকিবের খরচা ১৭ রান। দুই ওভারে ২৪ রান খরচা করে কোনো উইকেট পাননি তিনি।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা বেঙ্গালুরুর শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো। দলীয় ৯ রানের মধ্যেই ফিরে যান অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও রজত পতিদার। এখান থেকে দলের হাল ধরেন ম্যাক্সওয়েল। দেবদূত পাডিকালকে নিয়ে ৮৪ রানের জুটি গড়েন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
দেবদূত দেখেশুনে খেললেও ক্রমেই রান তোলার গতি বাড়াতে থাকেন ম্যাক্সওয়েল। দেবদূত ২৫ রান করে থামলে উইকেটে যোগ দেন ডি ভিলিয়ার্স। ম্যাক্সওয়েল-ভিলিয়ার্স জুটি থেকে ৫৩ রান পায় বেঙ্গালুরু। ৪৯ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭৮ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে আউট হন ম্যাক্সওয়েল।
ডি ভিলিয়ার্স ছিলেন আরও খুনে। শেষ বল পর্যন্ত ঝড়ের রেশ রাখা দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটসম্যান মাত্র ৩৪ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। শেষের দিকে কাইল জেমিসন ৪ বলে অপরাজিত ১১ রান করেন। কলকাতার বরুন চক্রবর্তী ২টি এবং প্যাট কামিন্স ও প্রদীস কৃষ্ণ একটি করে উইকেট পান।