ময়নাতদন্ত রিপোর্টে নিশ্চিত করা হলো ম্যারাডোনার মৃত্যুর কারণ
ঘুমের মধ্যেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান ফুটবল জগতের ইতিহাসে অদ্বিতীয় নক্ষত্র দিয়াগো ম্যারাডোনা। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার কারণে তার ফুসফুসে তরল জমে। মূলত এটাই তার মৃত্যুর কারণ বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে।
গত বুধবার আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের ভাড়া বাসাতেই তার আকস্মিক মৃত্যু হয়। শোক সংবাদটি এখনও মেনে নিতে পারছেন না আর্জেন্টিনার লাখ লাখ জনতা।
ইতোপূর্বে, গত ১১ নভেম্বর মস্তিকে জমাট বাধা রক্ত অপসারণে করা এক সফল অস্ত্রপাচারের পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। তারপর থেকে নিজ বাসভবনেই অবস্থান করছিলেন।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ডাক্তাররা তার কার্ডিওমিওপ্যাথি'র বিবরণ দিয়েছেন। হৃদপিণ্ড পেশি দুর্বল ও প্রসারিত হয়ে রক্ত সঞ্চালন করতে না পারাকেই চিকিৎসা বিজ্ঞান এভাবে প্রকাশ করে। বেশিরভাগক্ষেত্রে হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণেই পাল্মোনারি এডিমা বা ফুসফুসের টিস্যুতে তরল জমে তা বাতাস ভর্তি স্থানের জায়গা দখল করে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য সান জানিয়েছে, মৃত্যুর দিন সকালে উপরতলা থেকে নিচে নাস্তা করতে নেমেছিলেন ম্যারাডোনা।
এসময় তাকে রক্তশূন্য দেখাচ্ছিল। তিনি খুব ঠাণ্ডা লাগছিল বলেও জানান। তার ভাগ্নে জানান, অসুস্থ বোধ করায় তিনি আবারও শয্যায় চলে যান।
এরপর বেলা ১২টার কিছু আগে নার্স এসে তাকে জাগানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, সেই ডাকে আর সারা দেননি ম্যারাডোনা। খবর পেয়ে সঙ্গেসঙ্গেই জরুরি চিকিৎসা কর্মীরা এসে হাজির হন এবং তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
'দিয়াগো' শব্দটি এসেছে লাতিন নাম দিদাকাস থেকে। আর মূল শব্দটি হচ্ছে গ্রীক 'দিদাকাস' যার অর্থ হলো 'শিক্ষক।' এভাবেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেন বহু প্রজন্মের ফুটবলারদের অনুপ্রেরণার উৎস দিয়াগো ম্যারাডোনা। যার নাম ক্রীড়া ইতিহাসে এক বিস্ময় আর সম্ভ্রমের সঙ্গেই চিরকাল উচ্চারিত হবে।
- সূত্র: ডেইলি মিরর ও ডেইলি সান