রুবেলের আগুনে বোলিং, ইয়াসির-অঙ্কনের হাফ সেঞ্চুরি
শুরুতেই প্রতিপক্ষকে চেপে ধরলেন রুবেল হোসেন। ডানহাতি এই পেসারের আগুনে বোলিংয়ে মুহূর্তেই দিশেহারা তামিম একাদশ। প্রথম স্পেলে ৬ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচায় তিন উইকেট তুলে নিয়ে তামিম ইকবালদের পথ ভুলিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ একাদশের এই পেসার। তবু তামিম একাদশকে দিকহারা হতে দেননি হাফ সেঞ্চুরি করা ইয়াসির আলী রাব্বি ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
এরপর ব্যাট চালিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সোমবার বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এই চার ব্যাটসম্যানের ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহ গড়েছে তামিম ইকবালের দল। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ২২১ রান তুলেছে তামিম একাদশ।
অসাধারণ বোলিং করা রুবেল হোসেনই তামিম ইকবালের দলে প্রথম আঘাতটি হানেন। দারুণ এক ডেলিভারিতে তরুণ তানজিদ হাসান তামিমকে পরাস্থ করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর অধিনায়ক তামিমকে সাজঘর দেখিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহর দলের আরেক পেসার আবু হায়দার রনি।
দুই ওপেনারকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকা তামিম একাদশকে আরও চেপে ধরেন রুবেল। দারুণ ছন্দময় বোলিংয়ে ফিরিয়ে দেন এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ মিঠুনকে। ১৭ রানেই ৪ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা ইয়াসির আল রাব্বি ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
এই জুটি থেকে ১১১ রান পায় তামিম একাদশ। ছন্দময় ব্যাটিং করা ইয়াসির-অঙ্কনের জুটি আরও বড় হতে পারতো। কিন্তু রান আউটের শিকার হতে হয় ইয়াসিরকে। সাজঘরে ফেরার আগে ৮১ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ইনিংস সেরা ৬২ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। অঙ্কনও কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন। রুবেলের চতুর্থ শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ১১০ বলে ৩টি চার ২টি ছক্কায় ৫৭ রান করেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান।
এরপর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তামিমের দলের রানাচাকা ঘুরিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মোসাদ্দেক ৪০ ও সাইফউদ্দিন ৩৮ রান করেন। ৩৪ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন রুবেল হোসেন। এ ছাড়া এবাদত হোসেন ২টি ও আবু হায়র রনি একটি উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
তামিম একাদশ: ২২১/৮ (ইয়াসির ৬২, অঙ্কন ৫৭, মোসাদ্দেক ৪০, সাইফউদ্দিন ৩৮; রুবেল ৪/৩৪, এবাদত ২/৬০, আবু হায়দার ১/৪০)।