১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাদ দেওয়ার আলোচনা চলছিল বেশ আগে থেকেই। এমন কি একটি টেস্টও কমার কথা ছিল। অবশেষে সেটাই চূড়ান্ত হলো। ঘরের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজটি বাতিল করা হয়েছে। টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আগামী ১০ জানুয়ারি ঢাকা পৌঁছাবে ক্যারবীয়রা।
বাংলাদেশে আসার আগে সফরকারীদের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট পেতে হবে। বাংলাদেশে পা রেখে সাত দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকবে অতিথি দলটি। কোয়ারেন্টিনের প্রথম তিনদিন ক্রিকেটাররা হোটেল রুমে থাকবেন। তৃতীয় দিনের পর দ্বিতীয় করোনা পরীক্ষা হবে। নেগেটিভ আসার পর নিজেদের স্কোয়াডের ভেতরে অনুশীলন শুরু করবে উইন্ডিজ। সেখানে অন্য কাউকে যুক্ত করা হবে না। সাত দিনের পর অন্যদের সংস্পর্শে যেতে পারবেন খেলোয়াড়রা। এরপর বাংলাদেশের নেট বোলারদের নিয়ে সেশন শুরু করতে পারবে ক্যারিবীয়রা।
১৮ জানুয়ারি বিকেএসপিতে ৫০ ওভারের প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ সফর শুরু হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এরপর ২০ ও ২২ জানুয়ারি মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে জেসন হোল্ডারের দল। ২৩ জানুয়ারি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রয়ানা দেবে দুই দল। একদিন বিরতি দিয়ে ২৫ জানুয়ারি জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুই দল।
২৮ থেকে ৩১ জানুয়ারি এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে চার দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে উইন্ডিজ। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি মিরপুর স্টেডিয়ামে শুরু হবে ১১ ফেব্রুয়ারি। উইন্ডিজ বেশ আগে থেকে খেলে এলেও এই সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের মার্চে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ।
একটি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাতিল হওয়া প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'টেস্ট ম্যাচ কমলেও পয়েন্টে প্রভাব রাখছে না। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ দুই টেস্ট করে হিসেব করা হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। দুই বোর্ডই আমরা সম্মত হয়েছি পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজটি আয়োজন করা হবে।'