২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতির মুখে ইসিবি
ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনেক নিয়মের বেড়াজালের মাঝেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আতিথেয়তা দিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার পর পাকিস্তানকেও উড়িয়ে নিয়ে গেছে ইংল্যান্ড। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে প্রথম টেস্ট। অস্ট্রেলিয়াও সফর করার ব্যাপারে ইতিবাচক।
এতোকিছু করেও অবশ্য আর্থিক ক্ষতি পোষাতে পারছে না ইংল্যান্ড। বিশাল অঙ্কের ক্ষতির শঙ্কায় পড়ে গেছে ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রিকেট বোর্ডটি। বোর্ডের সম্ভাব্য আয় থেকে ১৮ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড (প্রায় ২ হাজার ৩২ কোটি টাকা) ঘাটতি থেকে যাবে বলে ধারণা করছে ইসিবি।
এই ঘাটতি অবশ্য কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনাও আছে। কিন্তু সবকিছু ঠিকভাবে সম্পন্ন করে সর্বোচ্চ আয় করলেও ইসিবির আয়ে ১০ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড (প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা) ঘাটতি থেকে যাবে বলে খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাাদ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
করোনার এই কঠিন সময়ে সম্ভাব্য আয়ের হিসাব কষতে ১৮টি কাউন্টি দল ও কাউন্টি বোর্ডগুলোর সঙ্গে বুধবার বৈঠক করে ইসিবি। এই বৈঠকে বিভিন্ন আলোচনার পর ঘাটতির সম্ভাব্য পরিমাণের একটি ধারণা পেয়েছে ইংলিশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এই ঘাটতি আরও বেশি হতে পারতো ইসিবির। ইংলিশ গ্রীষ্মে কোনো খেলা না হলে আয়ে ৪০ কোটি পাউন্ড (প্রায় ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা) ঘাটতি থেকে যেতে পারতো। এই ঘাটতি কমাতে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই সিরিজ আয়োজন করে যাচ্ছে ইসিবি।
করোনাভাইরাসের কারণে সব সেক্টরের আয়েই প্রভাব পড়েছে। ইসিবির আর্থিক ক্ষতির অন্যতম কারণ সিরিজ আয়োজনে ব্যয় বেড়ে যাওয়া। পাশাপাশি আয় কমে যাওয়া। এ ছাড়া প্রতিপক্ষ দলগুলোকে চার্টার্ড ফ্লাইটে আনা, থাকার ব্যবস্থা করা এবং লম্বা সময় ধরে ভেন্যুগুলোকে জীবাণুমুক্ত রাখতে গিয়ে অনেক অর্থ ব্যয় হচ্ছে তাদের।
দর্শকবিহীন মাঠে খেলা হওয়ায় টিকেট বিক্রি থেকেও আয় হচ্ছে না। আবার স্পন্সরশিপ থেকেও আয় কমে গেছে। সব মিলিয়ে বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে ইসিবিকে।