‘নিষিদ্ধ’ শাহাদাত খেলছেন প্রিমিয়ার লিগ
২০১৯ সালের নভেম্বরে জাতীয় লিগের ম্যাচে সতীর্থ আরাফাত সানি জুনিয়রের গায়ে হাত তোলার অভিযোগে নিষিদ্ধ হন শাহাদাত হোসেন। দুই বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় ডানহাতি এই পেসারকে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার দেড় বছর পার না হতেই গত মার্চে শাস্তি মওকুফের জন্য আবেদন করেন শাহাদাত। ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসার খরচ চালাতে ক্রিকেটে ফিরতে চান বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
আবেদন করলেও বিসিবি থেকে সাড়া পাওয়ার ব্যাপারে কিছু জানাননি শাহাদাত। বিসিবির পক্ষ থেকেও তার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। অথচ সেই শাহাদাতকেই দেখা গেল শনিবার প্রিমিয়ার লিগ খেলতে। পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে ১৮ মাস পর প্রতিযোগিতামূলক কোনো ম্যাচ খেললেন অভিজ্ঞ এই পেসার।
নিষেধাজ্ঞা মওকুফ করার আবেদনের পর বিসিবির পক্ষ থেকে শাদাহাতকে জানানো হয়েছিল, তার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে। তবে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা বিসিবি এখনও দেয়নি। বাংলাদেশের হয়ে ৩৮ টেস্ট, ৫১ ওয়ানডে ও ৬টি টি-টোয়েন্টি খেলা শাহাদাত জানিয়েছেন, গত মার্চেই তার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বিসিবি।
শনিবার ম্যাচ শেষে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে শাহাদাত বলেন, 'নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে আমি গত মার্চে আবেদন করছিলাম। আবেদনের কয়েকিদন পরই আমার শাস্তি মওকুফ করা হয়। এরপর থেকেই ফেরার অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে ফেরার সুযোগ হলো।' ২০১৯ সালের নভেম্বরে জাতীয় লিগে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেন শাহাদাত।
১৮ মাস পর মাঠে ফেরা ডানহাতি এই পেসার ওল্ডডিওএইসএসের বিপক্ষে দুই ওভার বোলিং করেছেন। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের টুর্নামেন্টের এই ম্যাচে ১৬ রান খরচা করলেও কোনো উইকেট পাননি তিনি। তবে নিজের বোলিং নিয়ে সন্তুষ্ট শাহাদাত, 'এতদিন পরে ফিরে যেভাবে বোলিং করেছি, একেবারে খারাপ না। মনে হচ্ছে নিয়মিত হতে পারলে ভালোই হবে। সর্বোচ্চটা দিয়ে সেই চেষ্টা চালিয়ে যাবো আমি।'
অনেক বিতর্কের সঙ্গেই জড়িয়েছেন শাহাদাত। ২০১৬ সালে নিজ বাসার শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের দায়ে জেলে যেতে হয়েছিল শাহাদাতকে। একই মামলায় জেলে ছিলেন তার স্ত্রীও। জামিনে জেল থেকে মুক্তির পর নিজের ভুল স্বীকার করে দেশ ও জাতির কাছে ক্ষমা চান শাহাদাত। সেবারও এই পেসারকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছিল বিসিবি। পরে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে জীবিকার কথা ভেবে ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।