‘যারা ফুটবলের সঙ্গে আছেন, তাদের কাছে আমি জনপ্রিয়’
'সালাউদ্দিন হটাও, ফুটবল বাঁচাও'- এমন হ্যাশ ট্যাগের পোস্টে ছেয়ে গিয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অফিসিয়াল পেজের পোস্টেও কাজী সালাউদ্দিনকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য পড়েছে হাজারে হাজার। দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন পর্যন্ত হয়েছে।
যদিও ভোটে এসবের কোনো প্রভাবই পড়লো না। কাউন্সিলররা আরও একবার যোগ্য হিসেবে বেছে নিলেন কাজী সালাউদ্দিনকে। তাদের রায়ে ৫৪ ভোটের ব্যবধানে জিতে আবারও বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সালাউদ্দিন। এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হলেন তিনি।
১২ বছর ধরে বাফুফে প্রধানের দায়িত্ব পালন করা সালাউদ্দিন নিজের ধারাবাহিক ভোট বিজয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত। এতে একটা বিশ্বাস তৈরি হয়েছে তার মধ্যে যে, যারা ফুটবলের সঙ্গে থাকেন, তাদের কাছে তিনি জনপ্রিয়। এ কারণেই তাকে বারবার নির্বাচিত করা হয়। ভোটে জেতার পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এমনই জানিয়েছেন দেশের কিংবদন্তি এই ফুটবলার।
সালাউদ্দিন বলেন, 'ভোটারদের নিয়ে মিডিয়ায় অনেক কথা শুনেছি। ভোটাররা আমাকে ভোট দেবে না নাকি, এমন অনেক কথা শুনেছি। ২০০৮ সালে আমি ৮০ ভোট পেয়ে জিতেছি, এরপর ৮৪ ভোট পেয়ে সভাপতি হয়েছি, এবার পেয়েছি ৯৪ ভোট। আমি তো দেখছি আমার ভোট বাড়ছে। মানুষ যাই বলুক না কেন, যারা ফুটবলের সঙ্গে আছেন, তাদের কাছে তো আমি জনপ্রিয়। ধন্যবাদ সবাইকে।'
হোটেল সোনারগাঁওয়ে শনিবার দুপুর ২টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এরআগে থেকেই ভোট কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যায়। ভোটাররা ছাড়াও হোটেল সোনারগাঁওয়ে এসেছিলেন সাবেক ফুটবলার, সংগঠকরা। এ ছাড়া জাতীয় দলের বর্তমান খেলোয়াড়রাও হাজির হন। সালাউদ্দিনের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতীয় দলের ফুটবলাররা।
এই ব্যাপারটি নিয়ে বেশি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সালাউদ্দিন, 'আমার শক্তি আমার ফুটবলাররা। জাতীয় দলের সব খেলোয়াড়রা আমাকে ভালোবাসে। আজকের নির্বাচনে সব খেলোয়াড় আমাকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছে। এটা অনেক বড় জিনিস। যারা খেলছে, দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিচ্ছে, তারা আজ আমাকে শুভ কামনা জানাতে এসেছে। তখনই আমার মনে হয়েছে অবশ্যই আমি ভালো কিছু করেছি, তাই ওরা আমাকে এতোটা সমর্থন করে।'
চতুর্থবারের মতো নির্বাচন করার আগে ৩৬ দফার ইশতেহার ঘোষণা করেন সালাউদ্দিন। সবগুলো প্রতিশ্রুতই পূরণ করতে চান তিনি। তবে সালাউদ্দিন এটাও মনে করিয়ে দিলেন সবকিছু শতভাগ সম্ভব নয়, 'আমার মনে হয় সম্ভব। তবে পৃথিবীতে তো সব কিছু শতভাগ সম্ভব নয়। তবে চেষ্টা থাকবে ইশতেহারে যা আছে, সব পূরণ করে যেন আপনাদের হাতে দিতে পারি। এতে আপনাদের সবার সহযোগীতা চাই।'