বৃষ্টির পেটে যাওয়া প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা
বৃষ্টির হানায় ম্যাচ পিছিয়ে যায় পৌনে দুই ঘণ্টা, ওভার আসে কমে। ১৬ ওভারের ম্যাচে আগে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ করে দাপুটে শুরু। ব্যাট হাতে ঝড় তোলা সাকিব আল হাসান অষ্টম ওভারে আউট হন, এরপর শুরু হয় বৃষ্টি। আবারও ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে, নেমে যায় ১৪ ওভারে। এবার শুরুর পর আর আগের ধারায় আর থাকা হয়নি বাংলাদেশের। দ্রুত উইকেট পতনের পর শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহানের ঝড়ো ব্যাটিং, এরপর আবারও বৃষ্টি। শেষমেষ ম্যাচই আর হলো না।
বারবার বৃষ্টির হানায় বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছে। ম্যাচ চলাকালীন দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টি হলে দুই অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। এর আগে ১৩ ওভার ব্যাটিং করে ৮ উইকেটে ১০৫ তোলে বাংলাদেশ।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১০০ পেরোতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। সাত বছর পর জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা এনামুল হক বিজয় দারুণ শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। দুই অঙ্কের রান করেন কেবল সাকিব, বিজয় ও সোহান। বাকি ব্যাটসম্যানরা কেউ রানের দেখা পাননি। টেস্টের পর টি-টোয়েন্টিতেও ব্যাটিং ব্যর্থতাই দেখা গেল।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই দিক হারায় বাংলাদেশ। ক্যারিবীয় বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেনের করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফিরে যান মুনিম শাহরিয়ার। আকিলের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন ২ রান করা মুনিম।
শুরুতেই উইকেট হারানোর চাপ অবশ্য দলকে বুঝতে দেননি বিজয় ও সাকিব। দুজনই তেড়েফুঁড়ে ব্যাটিং শুরু করেন। ৩.৩ ওভারেই স্কোরকার্ডে জমা হয়ে যায় ৩৬ রান। এমন সময়ে থামতে হয় বিজয়কে। ক্যারিবীয় পেসার ওবেদ ম্যাককয়ের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি ১০ বলে ৩টি চারে ১৬ রান করা বিজয়।
সাকিবের সঙ্গে উইকেট যোগ দেওয়া লিটন কুমার দাসকে এদিন সাবলীল মনে হয়নি। ১৪ বলে ৯ রান করে ফিরে যান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এর কিছুক্ষণ পরই ওয়েস্ট ইন্ডিহের লেগ স্পিনার হেইডেন ওয়ালশের গুগলিতে পরাস্থ হন সাকিব। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৫ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ইনিংস সেরা ২৯ রান করেন তিনি।
এরপর শুরু হয় বৃষ্টি, কয়েক মিনিট পরই অবশ্যই খেলা মাঠে গড়ায়। খেলা শুরুর পর দ্বিতীয় বলেই শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে আউট হন রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হওয়ায় আফিফ হোসেন ধ্রুব। দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও, ৮ রান করে থামেন তিনি। এরপর এক রান করেই বিদায় নেন শেখ মেহেদি হাসান।
উইকেটে গিয়ে চার মারা নাসুম আহমেদকে নিয়ে কিছুটা সময় লড়াই করেন সোহান। দারুণ কিছু শটে ডানহাতি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ১৫ রান করেন। ১৬ বলের ইনিংসে একটি চার ও ২টি ছক্কা মারেন তিনি। এক ওভার বাকি থাকতে শুরু হয় বৃষ্টি। নাসুম ৭ ও শরিফুল শূন্য রানে অপরাজিত থাকেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ডানহাতি পেসার রোমারিও শেফার্ড। এ ছাড়া হেইডেন ওয়ালশ ২টি এবং আকিল হোসেন, ওবেদ ম্যাককয় ও ওডেন স্মিথ একটি করে উইকেট নেন।