সেই ভারতেই স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের
শুরুটা হলো দুঃস্বপ্নের মতো, ২৫ সেকেন্ডেই জালে জড়ালো বল। তবে ঘুরে দাঁড়াতে সময় নিলো না বাংলাদেশ। এরপর দুই দল একটি করে গোল করায় সমতা অবস্থায় লড়াই হয় সমানে সমান, ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। যেখানে ভারতের বিপক্ষে পাত্তাই পেলো না বাংলাদেশ। একের পর এক গোল হজম করে আবারও ভারতের বিপক্ষে স্বপ্নভঙ্গ হলো বাংলাদেশ যুবাদের।
শুক্রবার ভারতের ভুবনেশ্বরের কালিংগা স্টেডিয়ামে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৫-২ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠের দলটিকে শিরোপা জেতানোর পথে একাই ৪ গোল করেছেন গুরকিরাত সিং। অন্য গোলটি হিমাংশু জাংরার। বাংলাদেশের পক্ষে একটি করে গোল করেন রাজন ও শাহীন।
ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে হারই যেন বাংলাদেশের নিয়তি হয়ে উঠেছে। ২০১৯ সালে অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়সীদের নিয়ে হওয়া এ আসরের ফাইনালে ভারতের কাছে ২-১ গোলে হেরে রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ। বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্টের ছয় আসরের শিরোপাই জিতল ভারত। দ্বিতীয়বারের মতো রানার্সআপ হলো বাংলাদেশ।
এবার অবশ্য অন্য গল্প লেখার আশায় ছিল বাংলাদেশ। কারণ রাউন্ড রবিন লিগের সেরা দল হওয়ার লড়াইয়ে ভারতকে ২-১ গোলে হারায় বাংলাদেশ। এই জয়ে প্রত্যাশা বেড়েছিল, শিরোপা স্বপ্নে বিভোর ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ করার মতো ফুটবল বাংলাদেশ খেলতে পারেনি।
প্রথম মিনিটেই আক্রমণ করে ভারত। বক্সের বেশ বাইরে থেকে হিমাংশুর জোরালো শট ফেরালেও নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি গোলরক্ষক মোহাম্মদ আসিফ। নিয়ন্ত্রণ নিতে ছুটে যান গুরকিরাত ও আসিফ। আসিফের চার্জে গুরকিরাত পড়ে গেলে পেনাল্টি পায় ভারত। এই ফরোয়ার্ডই স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে গিয়ে সমতা আনে বাংলাদেশ। দারুণ কারিকুরিতে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন রফিকুল। তার পাস প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে চলে যায় রাজনের সামনে। জোরালো শটে জালে বল জড়ান রাজন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। মাঝমাঠ থেকে ইমরানের ফ্রি কিক ভারতের এক ডিফেন্ডার পরিষ্কার করলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। বক্সেই বল পেয়ে যান শাহীন। বল একটু ফাঁকায় বের করে নিয়ে বাঁ পায়ের দারুণ শটে গোল আদায় করে নেন তিনি।
এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে বেশি সময় থাকা হয়নি বাংলাদেশের। ৫৯তম মিনিটে বক্সের ঠিক উপর থেকে গুরকিরাতের জোরালো শট জালে জড়ালে সমতায় ফিরে ভারত। দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল হয়নি, ২-২ সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই এগিয়ে যায় ভারত। সতীর্থের পাস ধরে আগুয়ান আসিফের পাশ দিয়ে নিখুঁত শটে গোল করেন হিমাংশু। ৯৩তম মিনিটে বাংলাদেশের গোলরক্ষককে কাটিয়ে কোনাকুণি শটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন গুরকিরাত। ৯৮তম মিনিটে নিজের চতুর্থ গোল করেন গুরবিরাত।