ম্যাচ পরিত্যক্ত, এশিয়া কাপ থেকে বাংলাদেশের বিদায়
শেষ চারে খেলার টিকেট হাতের মুঠোয়ই ছিল। কিন্তু হেলায় সুযোগ হারিয়ে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। তবু সুযোগ ছিল, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে জিতলেই নারী এশিয়া কাপের সেমি-ফাইনালে উঠতো নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। কিন্তু এ পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালো বৈরী আবহাওয়া। বৃষ্টির হানায় একটি বলও মাঠে গড়ালো না। ম্যাচের সঙ্গে ভেসে গেল বাংলাদেশের ভাগ্যও।
মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-আরব আমিরাতের মধ্যকার ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে। তাতে এশিয়া কাপ থেকে বাংলাদেশের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল। এই ম্যাচটি জিতলে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট হতো বাংলাদেশের। থাইল্যান্ডেরও ৬ পয়েন্ট, কিন্তু রান রেটে এগিয়ে থাকায় শেষ চারে যেত বাংলাদেশ। কিন্তু বৃষ্টি বাধায় তা আর হলো না। ঘরের মাঠে শেষ চারের আগেই বিদায় নিলো এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
পাকিস্তানকে হারিয়ে চমক উপহার দেওয়া থাইল্যান্ড প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের সেমি-ফাইনালে উঠলো। চারটি করে ম্যাচ জিতে সেমিতে ওঠা ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গী হলো থাইল্যান্ডের মেয়েরা। এশিয়া কাপের বাকি অংশে ঘরের মাঠেই দর্শক হয়ে উঠলেন নিগার, সালমা, জাহানারা, রুমানারা। ৬ ম্যাচে দুই জয় ও তিন হারের সঙ্গে পরিত্যক্ত এই ম্যাচ মিলিয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করল শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে মিশন শুরু করা বাংলাদেশ।
শক্তির বিচারে আরব আমিরাতের চেয়ে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। নিগারদের সামনে পাত্তাই পাওয়ার কথা নয় তাদের। কিন্তু সেটা প্রমাণের জন্য ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে হতো। কিন্তু সিলেটে টানা বৃষ্টিতে সেটা সম্ভব হলো না। বেলা ১১টার দিকে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশকে অবশ্য এই ম্যাচের জন্য অপেক্ষাই করতে হতো না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সহজ লক্ষ্যটা পাড়ি দিতে পারলেই হতো।
তাই বৃষ্টির কারণে কপাল পুড়েছে বাংলাদেশের, তেমন বলার সুযোগ নেই। অথচ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফেরে বাংলাদেশের মেয়েরা। এশিয়া কাপেও শুরুটা হয় দুর্বার। থাইল্যান্ডকে উড়িয়ে আসর শুরু করে স্বাগতিকরা। পরের ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বাজেভাবে হারে তারা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ৪১ রান। কিন্তু তাড়াহুড়োয় ৩৭ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। অবিশ্বাস্যভাবে ৩ রানে হেরে নিজেদের বিপদ ডেকে আনে বাংলাদেশ।