চট্টগ্রামে টিকেট নিয়ে কাড়াকাড়ি
ফুটবল বিশ্বকাপে বুদ হয়ে আছে গোটা দুনিয়া। বিশ্বকাপ স্বপ্ন এখনও দূর আকাশের তারা হয়ে থাকলেও বাংলাদেশে 'দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ' নিয়ে উন্মাদনার কমতি থাকে না। বিশেষ করে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা নিয়ে এ দেশের ফুটবল ভক্তদের উচ্ছ্বাস কখনও কখনও পাগলামিকেও ছাড়িয়ে যায়। কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে তেমনই চলছে।
ফুটবল উন্মাদনার মাঝে ঘরের মাঠে চলছে বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ। ফুটবল বিশ্বকাপের মতো এই সিরিজ নিয়েও আগ্রহের শেষ নেই বাংলাদেশের ক্রীড়ামোদীদের। দেশের সবচেয়ে বড় আবেগের নাম ক্রিকেট মাঠে গড়াতেই কারও কারও মনোযোগ ঘুরে গেছে। কেউ কেউ আবার দুইয়ের সমন্বয় করছেন; দিনে ক্রিকেট, রাতে ফুটবল।
এই সংখ্যাটা অনেক। তাদের কারণেই চট্টগ্রামে তৃতীয় ওয়ানডের আগে টিকেট নিয়ে কাড়াকাড়ি অবস্থা। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় সিরিজের শেষ ওয়ানডের টিকেট নিয়ে ক্রিকেটমোদীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে। চট্টগ্রামের বিটাক মোড়ের কাছে সাগরিকা টিকিট কাউন্টার ও এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের কাউন্টারে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট সংগ্রহ করেছেন ক্রিকেট ভক্তরা।
হারের মুখ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে অবিশ্বাস্য জয়ের গল্প লেখেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ডানহাতি এই অলরাউন্ডারের করা লড়াইয়ে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ জয় পায় বাংলাদেশ। প্রিয় ফরম্যাট, সঙ্গে হারতে বসা ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেওয়া। আত্মবিশ্বাসে টই-টুম্বুর বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচেও বিজয় নিশান ওড়ায়। মিরাজের অসাধারণ সেঞ্চুরিতে ম্যাচের সঙ্গে সিরিজও জিতে নেয় ঘরের মাঠের দলটি।
সেই হিসেবে তৃতীয় ম্যাচটি নিতান্তই নিয়ম রক্ষার। কিন্তু কয়েকটি উপলক্ষ্যে এই ম্যাচ নিয়ে চট্টগ্রামের ক্রিকেটমোদীদের আগ্রহের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ভারতের মতো দলের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ দিয়েই সিরিজ জয়, আসল কাজ শেষ। কিন্তু দৃষ্টি যে এবার হোয়াইটওয়াশে। শেষ ম্যাচ জিতে সেটা করতে পারলে বাংলাদেশের জন্য সেটা হবে দারুণ কীর্তি।
প্রথমবারের মতো পরাশক্তি ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ নেওয়া হবে। এমন একটি কীর্তির অংশীদার হয়ে থাকতে চান অনেকেই। আছে আরও উপলক্ষ্য। চট্টগ্রামে ক্রিকেট ফিরেছে লম্বা সময় পর। সাগরিকার এই ম্যাঠে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়নি দীর্ঘ আট মাস। গত মার্চে এখানে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। এসব কারণেই টিকেট নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে এতো আগ্রহ।