ঢাকাকে উড়িয়ে জয়ে ফিরলো তামিমের বরিশাল
সিলেটে খেলা সর্বশেষ ম্যাচের পর ট্রমাতেই পড়ে যাওয়ার কথা ফরচুন বরিশালের। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দুইশ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ গড়েও হেরে যায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। শেষ ওভারে ২৬ রান দরকার ছিল, ৩০ রান তুলে দলকে জেতান রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। অমন হারের পর মেজাজ হারিয়ে মাঠেই অ্যালেক্স হেলসের সঙ্গে বিবাদে জড়ান তামিম ইকবাল, বরিশালের অধিনায়ককে করা হয় শাস্তিও।
সিলেট পর্বে ওটাই ছিল বরিশালের শেষ ম্যাচ। এরপর দলটি ঢাকা ফিরে গেছে চট্টগ্রামে। এই পর্বে আজ তারা প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে। এই ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি ঢাকা ক্যাপিটালস। প্রথম বল হাতে দাপট দেখানো বরিশাল পরে দারুণ ব্যাটিংয়ে তুলে নেয় দাপুটে জয়। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঢাকাকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তামিমের দল। ছয় ম্যাচে চার জয়ে আট পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বর দল বরিশাল। ৮ ম্যাচের ৭টিতে হেরে তলানির দল ঢাকা।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে ঢাকা ক্যাপিটালস। টানা ছয় হারের পর প্রথম জয়ের স্বাদ পাওয়া দলটির পক্ষে তানজিদ হাসান তামিম ছাড়া কেউ-ই ব্যাট চালাতে পারেনি। বাঁহাতি এই ওপেনার হাফ সেঞ্চুরি করেন, বাকিদের কেউ ২২ রানের বেশি করতে পারেননি। ১৯.৩ ওভারে ১৩৯ রানে অলআউট হয় ঢাকা। জবাবে ম্যাচসেরা তামিমের হাফ সেঞ্চুরি ও দাভিদ মালানের ব্যাটে ১৬ ওভারেই (২৪ বল হাতে রেখে) জিতে যায় বরিশাল।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই উইকেট হারায় বরিশাল, দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান নিজের ছায়া হয়ে ওঠা নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুর হোঁচটে অবশ্য দিক হারায়নি বরিশাল, দ্রুত উইকেটে মানিয়ে নিয়ে জুটি গড়ে তোলেন তামিম ও মালান। দ্বিতীয় উইকেটে ৮০ বলে ১১৭ রানের জুটি গড়েন এ দুজন। এই জুটিতেই জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় বরিশালের। ১৫তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৪৮ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৬১ রানরে দারুণ এক ইনিংস খেলেন তামিম।
চলতি বিপিএলে এটা তামিমের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। ৬ ম্যাচে ৪৪.৪০ গড়ে ২২২ রান করেছেন অভিজ্ঞ এই ওপেনার, যা এখন পর্যন্ত বিপিএলের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রান। তামিমের বিদায়ের পর জাহানদাদ খানকে নিয়ে বরিশালকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মালান। বাঁহাতি এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান ৪১ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় অপরাজিত ৪৯ রান করেন। ৪ বলে ২টি ছক্কায় অপরাজিত ১৩ রান করেন জাহানদাদ। বরিশালের যাওয়া উইকেট দুটি নেন আবু জায়েদ রাহি ও ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা।
এর আগে ব্যাটিং করা ঢাকার ইনিংসে কেবল একটিই নাম, তানজিদ। বাঁহাতি তরুণ এই ওপেনার ছাড়া কেউ-ই ইনিংস বড় করতে পারেননি। আগের ম্যাচে দারুণ সেঞ্চুরি করা তানজিদ আজ ৪৪ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬২ রান করেন। এরপর কেবল ফরমানউল্লাহ কিছু রান করেন, তার ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে একটি চার ও ২টি ছক্কায় ২২ রান। লিটন কুমার দাস ১৩, সাব্বির রহমান ১০ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১১ রান করেন। দলটির ছয়জন দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি, দুজন ফেরেন শূন্য রানে। বরিশালের তানভীর ইসলাম ৩টি ও ফাহিম আশরাফ ২টি উইকেট নেন।