‘সবাই জানে লিটন বাংলাদেশের সুপারস্টার’
দুজন একই দলের, কাজটাও একই ভূমিকায়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দুজনই ওপেনার, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ইনিংস উদ্বোধনের গুরুদায়িত্ব লিটন কুমার দাস ও মোহাম্মদ রিজওয়োনের কাঁধে। যদিও দায়িত্ব পালনে একই রকম ভূমিকায় দেখা যায়নি এ দুজনকে। লিটন উইকেটে গিয়েই ব্যাট হাতে ঝড় তুলে যাচ্ছেন, রিজওয়ান পালন করছেন 'অ্যাঙ্করিং'- এর ভূমিকা।
কয়েকটি ইনিংসে নন স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে লিটনের দৃষ্টিনন্দন সব শট দেখেছেন রিজওয়ান। পাকিস্তানের এই ওপেনার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের লিটনের ব্যাটিং দেখেছেন। এবার বিপিএলে কয়েক গজ দূর থেকে লিটনের ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ রিজওয়ান। তার মতে লিটন বাংলাদেশের সুপারস্টার, আর এটা সবাই জানে।
ছয় ইনিংসে ২৬.৬৬ গড়ে ১৬০ রান করেছেন লিটন। বাংলাদেশের স্টাইলিশ এই ব্যাটসম্যান ছয় ইনিংসে ব্যাটিং করেছেন ১৪৮.১৪ স্ট্রাইক রেটে। রিজওয়ান ৪ উনিংসে ৬২.৫০ গড়ে রান করেছেন ১২৫, কিন্তু তার স্ট্রাইক রেট ১১২.৬১। রিজওয়ানের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, লিটন এমন ব্যাটিং করায় আপনার কাজ সহজ হয়ে যায় কিনা।
উত্তরে লিটনের প্রশংসা করে পাকিস্তানের এই ব্যাটসম্যান বলেন, 'সবাই জানে লিটন বাংলাদেশের সুপারস্টার। বাংলাদেশের হয়ে গত কয়েক বছর ও অনেক ভালো খেলছে। এখন অনেক ভালো ফর্মে আছে। আলহামদুলিল্লাহ, আমি আর লিটন দাস চেষ্টা করছি। সময়টা অল্প, তবে আমরা চেষ্টা করছি। আমরা চেষ্টা করছি দলের অন্যদের কাজ সহজ করে দেওয়ার।'
কেবল কুমিল্লার হয়েই নয়, পাকিস্তান দলেও 'অ্যাঙ্করিং' ইনিংস খেলতে দেখা যায় রিজওয়ানকে। অবশ্য থাকে ব্যতিক্রমও। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাকে অ্যাঙ্কর হিসেবেই দেখা মেলে। পাকিস্তান ওপেনারের দাবি, দলের চাওয়া পূরণ করতেই তার এমন ব্যাটিং। জাতীয় দল বা ঘরোয়া টুর্নামেন্ট, ম্যাচ যেখানেই হোক না কেন দলের চাওয়াই আগে তার কাছে।
ব্যাপারটি তার কাছে সহজ নয়, মাঝে মাঝে বিব্রতবোধও করেন ডানহাতি এই ওপেনার। রোববার মিরপুরে রিজওয়ান বলেন, 'এটা কঠিন একটা দায়িত্ব। মাঝে মাঝে তো বিব্রতকর মনে হয় (বাইরে থেকে দেখলে)। তবে আমার যা অভিজ্ঞতা, আমি যা জানি, আমি সেটাই করার চেষ্টা করি। কারণ দলের যা চাহিদা, আমি সেটাই করব। কোচ, অধিনায়ক, দলের মালিক; আমার কুমিল্লা পরিবারের সবাই আমার পারফরম্যান্সে খুশি। সবার পারফরম্যান্সেই '
'অ্যাঙ্করিং রোল যে-ই পালন করুক। পাকিস্তানেও সেটিই। কেউ যখন আপনাকে নেবে, তাদের চাহিদা থাকে। দলের কী চাহিদা। কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ পর্যালোচনা করতে হবে। আমি সব সময়ই এসব করতে চাই। মাঝেমাঝে এটা একটু বিব্রতকর। টি-টোয়েন্টিতে সবাই চার-ছক্কা চায়, ৩০-৩৫ বলে ৬০-৭০ রান চায়। তবে আমার কাছে কীভাবে ম্যাচ জেতা যায়, আমি কীভাবে দলকে জয়ের পথে রাখতে পারি এটাই গুরুত্বপূর্ণ।' যোগ করেন তিনি।